খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে মারমা উন্নয়নের সংসদ সদর শাখা উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পানি খেলা(জলকেলি)’র ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের মধ্যদিয়ে জেলাতে মারমা ও রাখাইন স¤প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে। এতে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল “নব দিনের নব আলোয়, নব জীবন গড়ি, জরাজীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা ভুলে, সম্প্রীতির হাত ধরি”।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের পানখাইয়া পাড়া থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বর ঘুড়ে হাসপাতাল গেইট হয়ে আবার পানখাইয়া পাড়ায় এসে শেষ হয়। পরে তরুন-তরুনীদের মাঝে পানি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান(প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

এ সময় তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্ধু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, পাজেপ’র সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, মংক্যচিং চৌধুরী, বাশঁরি মারমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সাংগ্রাই বাংলাদেশি মারমা এবং রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসবের নাম, যা প্রতিবছর এপ্রিল মাসে মাঝামাঝি সময়ে পালিত হয়। যদিও এটি মারমাদের অন্যতম প্রধান একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান, তবে রাখাইনরাও নিজস্ব নিয়মে সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে নেয়। মারমাদের ক্ষেত্রে তাদের বার্মা বর্ষপঞ্জি অনুসারেই এটি পালন করা হয়।

পুরনো বছরের শেষের দুই দিন আর নতুন বছরের প্রথম দিনসহ মোট তিনদিনকে মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই হিসেবে পালন করে থাকে। এ অনুযায়ী এই তিনদিন ইংরেজি ক্যালেন্ডারের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে পড়লেও এখন ইংরেজি ক্যালেন্ডারের সাথে মিল রেখে এপ্রিলের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করা হয। ১৩ তারিখের সকালে পাঃংছোয়াই(ফুল সাংগ্রাই) ১৪ এপ্রিল প্রধান সাংগ্রাই, অর্থাৎ আজ থেকে পানি খেলা। মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো ৩-৪ দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হবে।