খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট, বাসায় রেখেই চিকিৎসা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের (হাই রেজ্যুলেশন সিটি স্ক্যান) পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেয়েছে তার চিকিৎসক দল।

বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে (শুক্রবার) রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল (সাবেক এ্যাপোলো হাসপাতাল) থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আসার পর মধ্যরাতেই ভার্চুয়াল পর্যালোচনা করেন চিকিৎসকেরা।
পরে খালেদা জিয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করা হয়।

বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চলবে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের অন্যতম সদস্য ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার রাতেই ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাই। এরপর মধ্যরাতে চিকিৎসক টিমের সদস্যরা, ম্যাডামের পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের একজন চিকিৎসকসহ সবাই মিলে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা করা হয়। ওই পর্যালোচনার পর ম্যাডামের জন্য একটি নতুন ওষুধ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।’

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করা হয় খালেদা জিয়ার। এদিন রাত ১১টার দিকে সিটি স্ক্যান শেষে তিনি বাসায় ফেরেন।

গত রোববার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে খালেদা জিয়ার। ওই দিন বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শুক্রবার দুপুরে ডা. জাহিদ বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এসেছে। যেটা আমরা প্রভিশনাল রিপোর্ট পাওয়ার পর গণমাধ্যমে জানিয়েছিলাম। ফাইনাল রিপোর্টেও তাই এসেছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন যেতে চান না জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার ওপর আমাদের নিয়মিত অভজারভেশন চলছে। ঘণ্টায়-ঘণ্টায় আমরা আপডেট নিচ্ছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হওয়ায় পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়টিও আমাদের গ্রহণ করা আছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের মুক্তি হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তি পাওয়ার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় রয়েছেন খালেদা জিয়া।