খাশোগিকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত : সৌদি

সৌদি আরব জানিয়েছে, তুরস্কের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এটিই প্রমাণিত হয় যে, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। এক সরকারি কৌঁসুলির বরাতে বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল-ইকবারিয়া টিভি এ খবর দিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে কনস্যুলেটের ভেতরে মারামারিতে খাশোগির মৃত্যু হয়েছিল বলে যে দাবি করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে রিয়াদ।

এটিকে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে এ সাংবাদিকের নিহত হওয়ার ঘটনায় সৌদি কর্মকর্তাদের ভাষ্যের সর্বশেষ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ধামাচাপা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে যে করেই হোক, এ সংকটের একটি সুরাহা খুঁজছে সৌদি আরব।

ইকবারিয়ার খবরে বলা হয়েছে, খাশোগির ঘটনা তদন্তে গঠিত সৌদি আরব ও তুরস্কের যৌথ টাস্কফোর্সের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই কৌঁসুলি এ কথা বলেছেন এবং এ তদন্তের ভিত্তিতেই কৌঁসুলিরা সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

খাশোগি ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকে নিখোঁজ হওয়ার পর সৌদি আরব প্রথমে তার ব্যাপারে কিছু জানা থাকার কথা অস্বীকার করেছিল।

পরবর্তী সময়ে তারা ওই কনস্যুলেটেই তার খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে এবং ঘুষাঘুষিতে তিনি মারা যান বলে জানায়। আন্তর্জাতিক মহল এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তারা একাধিকবার বিবৃতি পাল্টায়।

শেষ পর্যন্ত দুর্বৃত্ত অভিযানের কারণে ভুলক্রমে খাশোগি খুন হন বলে তারা ব্যাখ্যা করে। আর এখন সৌদি কৌঁসুলি তার নতুন বক্তব্যে এ ব্যাখ্যার একেবারে ভিন্ন কথাই বললেন।

তুরস্কের কর্মকর্তারা শুরু থেকেই বলে আসছিলেন- খাশোগিকে হত্যা করার পর তার দেহ সরিয়ে দেয়ার জন্য টুকরো টুকরো করা হয়েছে।

তাদের কথার প্রমাণ হিসাবে তুর্কি গণমাধ্যমগুলোতে সৌদি টিমের সদস্যদের নাম, ছবি দেয়াসহ বিমানবন্দরে তাদের উপস্থিতি এবং ইস্তানবুলে তাদের পদচারণারও তথ্য দিয়েছে। খাশোগি সাজা আরেকজনের সিসি ক্যামেরার ছবিও তারা এ সপ্তাহে প্রকাশ করে।

আর এর পরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, এ সাংবাদিককে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত এবং এটি যে রাজনৈতিক অপরাধ তার স্পষ্ট প্রমাণ তুর্কি গোয়েন্দারা পেয়েছেন।

এখন ওই সৌদি কৌঁসুলিও কার্যত তুরস্কের কথাই স্বীকার করে নিয়ে বলেন, এ খুন ছিল পূর্বপরিকল্পিত।