নেত্রকোনার মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ

নেত্রকোনা-মদন সড়কের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে তৃতীয় বারের মতো অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। বার বার প্রশাসন নির্মাণ কাজ বন্ধ করলেও কৌশলে সরকারি বন্ধের দিন শুক্রবার ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এ নিয়ে জনমনে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মদন-নেত্রকোনার সড়কের মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের জয়পাশা গ্রামে বয়রাহালা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই সেতুর এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ শুরু করে জয়পাশা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া। প্রথম দফায় ঘরে নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়।

পরে দ্বিতীয় বারের মতো নির্মাণ কাজ শুরু করলেও তা বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু এবার সু-কৌশলে তৃতীয় বারের মতো ঘর নির্মাণ করছেন মজনু মিয়া। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, বয়রাহালা ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের উত্তরাংশের এপ্রোচ’র ব্লকের উপর মাটি ফেলে তৃতীয়বারের মতো ঘর তৈরির করছে মজনু মিয়া। এ নিয়ে চলতি বছরের ৯ মার্চ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন ব্রীজের এপ্রোচ’র অবৈধ স্থানা নির্মাণ দু’দফা বন্ধ করেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, ব্রীজের পাশে ঘর নির্মাণকারী মজনু মিয়া তাদের জানায় রোডস এন্ড হাই’র লোকজনকে মেনেজ করেই নাকি সে এপ্রোচ’র উপর ঘর নির্মাণ করছে। এপ্রোচ’র উপর ঘর নির্মাণের বিষয়টি প্রশাসন বা আমাদের জানাননি কেন?

উত্তরে তারা বলেন, যেখানে রোডস এন্ড হাইয়ের লোক জেনেও কিছু করে না আমারা কি করব? এখন নিয়ে তিনবার ঘর নির্মাণ করেছে। এতো সাহস কই পায়, তারা ক্ষুব প্রকাশ করে আরও বলেন, এক্সিডেন্ট করে মানুষ মরলে প্রশাসন খুশি হবে!

এ বিষয়ে মজনু মিয়া জানান, আগেরবার ঘর নির্মাণের সময় ইউএনও স্যার এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন আর আমাকে বলেছিলেন সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করবেন আমাকে জানাবেন না? তাই এইবার ইউএনও স্যার কে জানাইয়া ঘর নির্মাণ করছি। ইউএনও স্যারের অফিসের লোকজনও জানে।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌলশী পার্থ প্রতীম মিত্র জানান, ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে পুনরায় ঘর নির্মাণের বিষয়টি এই মাত্র আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এর আগে ইউএনও মহোদয়ের সাথে দেখা করে অনুরোধ করে এসেছিলাম লক্ষ্য রাখতে। এ বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ সম্পুর্ণ অবৈধ। এর আগেও দু’বার ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে তা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এবারও যদি এমনটা করে থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।