গণহত্যার স্বীকৃতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি আসবে

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর বেশি পরিমাণে চাপ দেবে। আর এতে করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি আসবে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ, আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশের সেক্রেটারি অব স্টেট (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। দেরিতে হলেও এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা ভালো সংবাদ।’

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সোমবার ওই সিদ্ধান্তেরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিল।

আর এর ফলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দেওয়ার ফলে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। এর ফলে আইসিজেতে যে কেইস (মামলা) চলছে এটা আরও শক্তিশালী হতে পারে। গণহত্যার বিষয়টি যেহেতু তারা স্বীকার করেছে, আমার বিশ্বাস বড় দেশ হিসেবে তারা যদি পুশ করে বা প্রেশার (চাপ) দেয়, প্রত্যাবাসনে একটা সমাধান আসবে।’

‘আমার মনে হয়, তারা অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করবে মিয়ানমার সরকারকে। এতে করে তারা (মিয়ানমার) লোকগুলোকে দেশে ফেরত নেবে। আমার ধারণা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এ ব্যাপারে আরও সজাগ হবেন, যাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িদের প্রত্যাবাসন হয়,’ বক্তব্যে যোগ করেন মোমেন।

মোমেন বলেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতির ফলে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী হোক আর না হোক, কেউ যদি হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন করে; যদি এ ধরনের গণহত্যা করে, তারা যেন শাস্তি পায়। আমরা গণহত্যা চাই না। এগুলো বন্ধ করার একমাত্র উপায় স্বীকৃতি এবং শাস্তি দেওয়া। এ ধরনের গণহত্যা যেন আর কখনও না হয়।’