গভর্নর, দুদক ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনানিতে কড়াকড়ি

ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধে সমন্বিতভাবে কীভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের মতামত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সে বিষয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এর দেয়া লিখিত আদেশ প্রকাশ পেয়েছে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বক্তব্য শুনানির সময় আইনজীবী বা অন্য কেউ থাকতে পারবে না। ওই দিন আদালত একাই সরাসরি তাদের বক্তব্য শুনবেন।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশের বিষয়টি পিপলস লিজিংয়ের কোম্পানি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধে সমন্বিতভাবে কীভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক ও বিএসইসির চেয়ারম্যানের মতামত জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ মার্চ তাদের বক্তব্য শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, যদি তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত না হতে পারেন তাহলে তাদের পক্ষে তিন প্রতিনিধিকে আদালতে সশরীরে হাজির হতে হবে। আর ওইদিন তিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য উপস্থাপনের সময় আদালতের ভেতরে অন্য কোনো আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এসময় আদালতে কোনো ব্যক্তিও উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

এর আগে পিপলস লিজিংয়ের ঋণ খেলাপিদের শুনানিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ ভার্চুয়াল কোর্টে দুদক ও বিএসইসির চেয়ােরম্যান এবং বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে বক্তব্য শুনতে সময় নির্ধারণ করে আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ।