গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধিঃ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২৭ সে.মি. উপরে

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৩টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরা লগুলোর বেশীর ভাগ এলাকায় পানি উঠেছে। ওইসব এলাকার ফসলী জমি, আমন বীজতলা এবং নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে কড়াইবাড়ি, খারজানি, পারদিয়ারা ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষরা ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৩ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৭৫ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই চার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলার জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৫০টি শুকনা খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে।