গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পূজামন্ডপ গুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এ বছর ৬০ মন্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব পালনে প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

উপজেলার বেশির ভাগ মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরীসহ সৌন্দর্যের কারু কাজ এবং রং-তুলির আঁচর ছাড়াও পোশাক-পরিচ্ছদ-পরিধানের শেষ মূহুর্ত্বের কাজ। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশ-কাঠ, খড়-সুতলি আর কাঁদামাটি দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। পূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এখন দিন-রাত লাগাতার ব্যস্তসময় কাটছে প্রতিমা শিল্পীদের।

বাৎসরিক পূজা উদযাপনে পৌরসভাসহ উপজেলা ৮টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপ’ই ইট এবং অস্থায়ী টিনের ছাউনি দিয়ে ঘেরা রয়েছে। পূজামন্ডপ চত্বর জুড়ে নানা রংয়ের রঙ্গীন কাপড়ের ডেকোরেশনে, সাজসজ্জ্বা-ঝলমলে আলোক বাতির প্রজ্বলনে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। এখন প্রতিমা আসনের স্থান সাজানো হচ্ছে। ষষ্ঠমীর মধ্যদিয়ে বিশ্ব শান্তির কল্যাণে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজায় দেবীকে আসনে রাখা হবে বলে জানান পুজারি-ভক্তবৃন্দ।

প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রী খোকন চন্দ্র মালাকার জানায়, অত্যন্ত নিপুন-নিখুঁত ভাবে প্রতিমাগুলো তৈরী করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী রং-তুলির বর্ণিল আঁচর শেষে দেব-দেবীর শরীরে চলছে জামা কাপড়সহ অলঙ্কার-গহনা পড়ানোসহ সাজসজ্জ্বার কাজ। পূজা মন্ডপ সমূহে আলোকসজ্জার জন্য লাগানো হচ্ছে নানা রংয়ের বৈদ্যুতিক বাতি। প্রতিমা তৈরীর শিল্পী প্রদীপ মালাকার জানান, প্রায় মাসখানেক আগে থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন তারা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার মিত্র ও সাধারণ সম্পাদক বাবু দীলিপ চন্দ্র সাহা জানান, হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তারা পূজা চলাকালীন উপজেলার সর্বত্র সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান জানান, হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। শান্তিপুর্ণ পরিবেশে মন্ডপ সমূহে নির্বিঘেœ পূজা-অর্চনা ছাড়াও দূর্গোৎসব পালনে সকল প্রস্তুতিসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়োজিত থাকবে।

থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এবছরও শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে সকল ক্রিয়াকর্ম যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। সেদিক লক্ষ্য রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-আনসার ভিডিপি সদস্য ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা নির্বিঘ্নে করতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। ফলে উপজেলার সকল পূজা মন্ডপ সমূহে সুষ্ঠু-নিরবিচ্ছিন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য; এ বছর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভায় মোট ৬০ মন্ডপে আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।