গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্তান রফিকুল ইসলাম মিটু

আসছে ৮ই মে ২০২৪ইং তারিখে উপজেলা নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে টাকা জমা দিলেন গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.হাই শেখ এর পুত্র আওয়ামী পরিবারের শেখ মো. রফিকুল ইসলাম মিটু।

গোপালগঞ্জবাসীর কাছে দৃশ্যমান যে, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রত্যেকেই সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন। তাদের মধ্যে তার পিতা শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. হাই শেখ , আপন দুই চাচা শহিদ আব্দুল লতিফ , শহিদ আব্দুল আসাদ সহ আপন চাচাতো ভাই শহিদ মনি মিয়া, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তার চাচা শহিদ আব্দুল লতিফের নামে ৮নং লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের নামকরণ করেন।

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে ১৯৭৮ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮০ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্য২ন্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন , ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৭ বছর দায়িত্ব পালন সহ বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে অদ্যাবধি রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন ও তার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে এসেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও তিনি দলীয় ভাবে দলের দূর সময়ে দলের সকল কর্মকাণ্ডের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন, তার মধ্যে ২০০৭ ইং সালের ১/১১ এর সময় সেনা সমর্থিত ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল কর্মকাণ্ডে যোগদান করেন এবং প্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবিতে গোপালগঞ্জের দলীয় সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন এর জন্য রাজপথে থেকেছেন।

২০০১-২০০৫ ইং সাল পর্যন্ত জামাত-বিএনপির রোশানলের স্বীকার হয়ে তাদের গুন্ডা বাহিনী ও পেটুয়া দোসর পুলিশ বাহিনী কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন তিনি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একাধিক মামলা হামলার স্বীকার হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ ইং সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনমত গঠনের জন্য সকল প্রকার সভা সমাবেশ ও জামাত-বিএনপির প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতি ও জ্বালাও পোড়াওকে প্রতিহত করে দলের পক্ষে ভোট সংগ্রহের জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

২০১৪ ইং সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীতে জামাত বিএনপির সকল প্রকার জ্বালাও পোড়াও ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা মুলক প্রচার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রাজপথে সকল সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রোখার চেষ্টা করেছেন তিনি। ২০১৮ ইং সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল কর্মকাণ্ড সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে ভোটার উপস্থিত করার জন্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সর্ব মহলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

রাজনীতির বাইরে সামাজিকভাবে গোপালগঞ্জ বাসীর কাছে সু-পরিচিত সে। তিনি ২০১৮ ইং সাল থেকে অদ্য পর্যন্ত গোপালগঞ্জ এস. এম. মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিদ্যালয়ের উন্নত শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে চেষ্টা করে অসছেন। ১০ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখে গোপালগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিপু ভোটে কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০২২ ইং সালে “ প্রজন্ম ২১ (মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সন্তান)” গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি ।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. রফিকুল ইসলাম মিটুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার পরিবারের বাবা সহ ৪ জনকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে হারিয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমার বাবা সহ পরিবারের লোকজন ঘরে বসে না থেকে দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে যুদ্ধে গিয়ে শহিদ হয়েছেন। দেশের জন্য আমি আমার বাবা-চাচা ও চাচাতো ভাই হারিয়েছি। আমি একজন শহিদ বীর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান হিসাবে গোপালগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও আওয়ামী পরিবার সহ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সকল সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছি।