জামালপুরে আগাম বন্যা থেকে রক্ষায় নতুন ধান চাষ করার উদ্যোগ

প্রতিবছর আগাম বন্যায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় নি¤œাঞ্চল তলিয়ে যায়। তলিয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় আধাপাকা ধান কাটতে হয়। কৃষকদের আগাম বন্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃষি বিভাগ নতুন ধান চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে গ্রামীন অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর, টেবিরচর, চরগজারিয়া, কাজিয়ার চর, পাহাড়ী ঢলে আগাম বন্যা দেখা দেয়। আগাম বন্যার কারণে এ চরের কৃষকরা ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষি বিভাগ ব্রি-৮৮,ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২,ব্রি-৯৬,বঙ্গবন্ধু-১০০ ও বিনা-২৫ জাতের ধান চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব জাতের ধান চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করণ মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ সহ ব্যপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ মাঠে নেমে পড়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ জাতের ধান চাষ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

বন্যা দুর্গত এলাকা নামে খ্যাত মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় এ জাতের ধান চাষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এ উপজেলা গুলোর নিচু অঞল প্লাবিত হয়। কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। কৃষি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নতুন ধান চাষ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কৃষক পর্যায়ে ব্যপক সাড়া পড়েছে। এই নতুন জাতের ধান চাষ শুরু হলে দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকবে না বলে কৃষকরা মনে করেন।