চাকুরির আবেদন ফরমে অবহেলিত বেরোবি’র নাম

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।প্রথমে ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করা হলেও পরে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে নাম পরিবর্তন করে রাখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’।কিন্তু বিভিন্ন সরকারি-বে-সরকারি কর্মক্ষেত্রে কতটুকু সুবিধা ভোগ করতে পারছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা-যেখানে চাকুরির প্রথম স্তরের আবেদন ফরমেই নাম নেই প্রতিষ্ঠানটির।

সরকারি-বে-সরকারি চাকুরির অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণে আজো অবহেলিত রয়ে গেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আট বছর পেড়িয়ে গেলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরির আবেদন ফরমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।ফলে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকসহ অন্যান্য জায়গায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে একাধিক শিক্ষার্থী।

এমনকি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) এর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেও (বিসিএস)অবহেলিত রয়ে গেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে নামকরণকরা ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর’ নামকরণ করা হলেও আজো বিপিএসসি সেটি অন্তর্ভুক্তি করেনি।বিসিএস এর আবেদন ফরম পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘আদারস্’ অপশন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখে দিতে হচ্ছে।নাম পরিবর্তনের ছয়/ সাত বছর হতে চললেও রয়ে গেছে পূর্বের নামটি ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’।

বিসিএস এর ফরম পূরণে অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আট বছর পেরিয়ে গেছে এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর নামকরণেরও দীর্ঘদিন পেড়িয়ে গেছে তবুও বিসিএস এর মতো পরীক্ষায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত হলো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচ এর একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি বিভিন্ন চাকুরিতে আবেদন ফরম পূরণ করেছি (বাংলাদেশ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য…)কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য সত্যিই দু:খজনক। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়রা পড়াশুনা করে অথচ চাকুরির আবেদন ফরমে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটাই নাই।আমি প্রত্যাশা করি অতিশীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিবেন।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরকে কল করলে তিনি কল কেটে দেন।তবে সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব মো. আলী হাসান( বর্তমান নিরাপত্তা শাখার দায়িত্বে) বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আর এই প্রথম ব্যাপারটি জানলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (বিটিএফও)কে এ ব্যাপারে কল করলে রিসিভ করেন নি।