চীনের ৪ বন্দরে নেপালকে প্রবেশের অনুমতি, চিন্তিত ভারত

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ফের ধাক্কা ভারতের। চীনের চারটি বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল নেপালকে। নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। শুধু বন্দরই নয়, চীনের স্থলপথেও এবার বাণিজ্য করতে পারবে নেপাল।

চারপাশে হিমালয়ে ঘেরা নেপাল বরাবরই ভারতের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেটাই এবার অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে চলেছে নেপাল। অর্থাৎ নেপালের বাণিজ্যে তথা আমদানী-রফতানিতে ভারতের একচ্ছত্র অধিকার কিছুটা হলেও শেষের পথে। কাঠমুণ্ডুকে পণ্য চলাচলের জন্য ৪টি বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিতে চলেছে চীন। এছাড়া চীনের ৩টি স্থলবন্দরও ব্যবহার করতে পারবে নেপাল। এখন শুধুই লিখিত চুক্তির অপেক্ষা।

২০১৫ ও ২০১৬ সালে সীমান্ত সমস্যার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে নেপালে প্রবল জ্বালানী ও ওষুধের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অত্যাবর্ষকীয় পণ্য চলাচলের জন্য নেপাল কলকাতা ও বিশাখাপত্তম বন্দরের ওপরে নির্ভরশীল। পরপর দুই বছর এই নিয়ে সমস্যার পরই নেপাল ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। গতকাল শুক্রবার চিন ও নেপালের মধ্যে বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপার কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। নেপাল চিনের তাইঝিন, সেনঝেন, লিয়ানয়ুগাং ও ঝানঝিয়াং বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।

নেপালের বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের এক কর্মকর্তা রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের ২টি বন্দরের পাশাপাশি চীনেরও ৪টি বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে নেপাল। জাপান, কোরিয়া ও উত্তর এশিয়ার দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানীর সময় চীনের বন্দর ব্যবহার করলে সময় অনেকটাই কম লাগবে। খরচও কমবে। বর্তমানে পণ্য চলাচল করে কলকাতা ও বিশাখাপত্তম বন্দর দিয়ে।

তবে চীনের ৪টি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেলেও তার জন্য নেপালকে বড়সড় খরচের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ নেপাল থেকে চীনের নিকটতম বন্দরের দূরত্ব ২৬০০ কিলোমিটার।

উল্লেক্য, এর আগে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন সংক্রান্ত চুক্তিতেই নেপাল ও চীনের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত মেলে। তিব্বত থেকে আসা এই রেলপথ চালুর বিষয়ে মৌ স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ৷ গত জুন মাসে চীনা ও নেপালি সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়৷ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ভারতের নাকের ডগায় যেভাবে চীনের ট্রেন ঢুকছে তাতে চিন্তা বাড়বে ভারতের।