চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকা আসতে পারে জুলাইয়ে

আগামী মাস অর্থাৎ জুলাইয়ের শুরুতেই চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকার প্রথম চালান আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সেই সঙ্গে দেশে প্রবাসী কর্মীদের ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

সোমবার (২৮ জুন) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী মাসের শুরুতে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকার প্রথম চালান আসতে পারে।

চলতি বছরের মার্চে চীনের সিনোফার্মের দেড় কোটি এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভির এক কোটি টিকা কিনতে সরকার আলোচনা শুরু করে। ইতিমধ্যে দুই দফায় উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ১১ লাখ টিকা দিয়েছে। এই টিকা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে কিছু জটিলতা তৈরি হলেও তা সমাধানের পথে। জুলাইয়ের প্রথম দিকেই দেশে আসতে পারে ক্রয়কৃত সিনোফার্মের টিকার এই চালান।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা কেনা নিয়ে সিনোফার্মের পাশাপাশি সিনোভ্যাক এবং আনুই জিফেই নামের আরও দুই চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলোচনা করেছে সরকার।

এর আগে গত শুক্রবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, লকডাউনের মধ্যেই করোনাভ্যাকসিন দেশে আসবে। তিনি জানিয়েছেন, কারোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘কোড্যাক্স’ থেকে আগামী সাত দশ দিনের মধ্যে থেকে ২৫ লাখ ডো মার্ডানার টিকা পাওয়া যাবে। আমরা কোভ্যাক্স থেকে টিকা পেতে গত জুনে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। সে হিসাবে কোভ্যাক্স আমাদেরকে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৭ কোটি ডোজ টিকা দিতে চেয়েছিল। আজকে আমারা চিঠি পেয়েছি। সেখানে উনারা (কোভ্যাক্স) আমাদেরকে ২৫ লাখ ডোজ মর্ডানার টিকা দেওয়ার কথা বলেছে। আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে টিকা বুঝিয়ে নিতে যে সব ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমাদেরকে নিতে বলেছে। একটা কনসার্ন লেটার পাঠাতে বলেছে, সেটা (কনসার্ন (লেটার) আমারা পাঠিয়ে দিচ্ছি।

সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের টিকার জন্য এর আগে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি আগামি কিছু দিনের তারা (চীন) মধ্যে একটা লট আমাদেরকে দেবে। তবে কখন দেবে ওরা কত ডোজ দিবে সেটা পরে জানিয়ে দেবে।