চুয়াডাঙ্গা থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের ৬ সদস্য আটক

ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও বেড়ে গেছে চুরির হওয়ার ঘটনা। কিন্তু প্রতিবারের মত এসময় বেশিরভাগই চোরচক্রের হানা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যত্যয় নয়। দিনে রাতে প্রায় প্রায়ই মোটরসাইকেলসহ ঘটছে বাড়ীতেও চুরির ঘটনা।

তবে বিভিন্ন কারণে অনেক চুরির ঘটনাই প্রশাসন বা রেজিস্ট্রার পর্যন্ত না আসায় জানা যাচ্ছে না সেসব চুরির ঘটনা। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব অপরাধ দমনে সজাগ দৃষ্টি দিয়ে রেখেছেন। তারই অংশ হিসেবে জেলা পুলিশের কর্মকাণ্ড আগের থেকে উন্নতি হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা থেকে চুরি যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করাসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ছয়জন সদস্যকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের চৌকশ দল।

সোমবার (৩ এপ্রিল) যশোরের কোতয়ালী থানার চাঁদপাড়া এলাকায় বিশেষ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে আল আমিন (৩৪), জুয়েল রানা (৩৩), আবু হানিফ হাওলাদার (৫৫), সেলিম মোল্যা (২৫), কামরুজ্জামান আরমান (২৫), জুনায়েদ হোসেন (২৩) মোট ছয়জনকে আটক করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, আল আমিন যশোর জেলার কোতয়ালী থানার চাঁদপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা শেখের ছেলে, জুয়েল রানা যশোর জেলার কোতয়ালী থানার চাঁদপুর গ্রামের টিপু শেখের ছেলে, আবু হানিফ হাওলাদার যশোর জেলার কোতয়ালী থানার হামিদপুর গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তির ছেলে, সেলিম মোল্লা মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের মৃত হাবিল মোল্যার ছেলে, কামরুজ্জামান আরমান মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার পারভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে, জুনায়েদ হোসেন মাগুরা জেলার স্টেডিয়ামপাড়ার মোস্তফা আল আজাদের ছেলে।

এ ঘটনার সত্যতা জানাতে, প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, গত ২৬ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোড থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। তারই প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোর সনাক্ত করে গোপনসংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যশোরে অভিযান চালিয়ে প্রথমে আল আমিনকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচসদস্যকে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া তিনটি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, তারা বড় ধরনের মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেল চুরি করে অন্য জেলায় বিক্রি করে দেওয়ায় এ চক্রের উদ্দেশ্য। তাদের দেয়া তথ্য নিয়ে অগ্রসর হলে অনেক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। আমরা এ বিষয়ে আরও চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। চোরচক্রের সদস্যদের পুলিশ বাদী মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।