জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত না পাওয়ায় প্রেমিকাসহ হত্যা ৬ জনকে

গেল এক সপ্তাহে নয়টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে প্রাণ গেছে ১৫ জনের, আহত কমপক্ষে ৩০ জন। যার মধ্যে রোববার(৯ মে) কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যার ঘটনা সব থেকে ভয়াবহ। কলোরাডো স্প্রিংস এলাকার একটি মোবাইল হোম পার্কে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে সাপ্তাহিক বন্ধের সময় এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেছে।

কলোরাডোর পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত না পাওয়ায় মর্মাহত হয়ে ৬ জনকে হত্যা করেছেন ২৮ বছর বয়সী ওই অপরাধী। থিওডোরো মাসিয়াস নামের ওই বন্দুকধারী তার ২৮ বছর বয়সী প্রেমিকা সান্দ্রা ইবারা-পেরেজসহ তার আরও ৫ আত্মীয়কে খুন করেন। এরপর নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, যে পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে তাদের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে অন্য একটি পার্টিতে মাসিয়াসের ‘ঝগড়া’ হয়েছিল। নিজের প্রেমিকাকে নিয়েও ঈর্ষাকাতর ছিলেন তিনি।

এক সংবাদ সম্মেলনে কলোরাডো স্প্রিংস পুলিশ প্রধান ভিন্স নিস্কি বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর এ ঘটনার কারণ ‍গৃহবিবাদ। পারিবারিক পার্টিতে যখন মাসিয়াসকে নিমন্ত্রণ জানানো হলো না তখন তিনি গুলি করে তার জবাব দিলেন।’ প্রায় এক বছর ধরে সান্দ্রার সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওই হামলায় নিহত বাকিরা হলেন: মেলভিন পেরেজ (৩০), মেলভিনের মা জোয়ানা ক্রুজ (৫৩), মেলভিনের ভাই হোসে গুতেরেজ ক্রুজ (২১), মেলভিনের স্ত্রী মাইরা পেরেজ (৩২) এবং মাইরার ভাই হোসে ইবারা।

দুই মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে এই ধরনের বড় দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটলো যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে। এর আগেরটি ঘটেছিল উত্তর-মধ্য কলোরাডোর শহর বোল্ডারের এক মুদি দোকানে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায় ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিল ১১ জন।