জবিতে ফাও খাইয়িয়ে বাঁধাগ্রস্ত ক্যান্টিনের উন্নয়ন

ক্যান্টিন এর খাবারের মান উন্নয়নের প্রথম অন্তরায় ফাও খাওয়া। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যান্টিন কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান উন্নয়নের পথে। ছাত্রকল্যাণ এর পরামর্শক্রমে শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও মান সম্মত খাবার দেওয়ার লক্ষ্যে চেষ্টার ঘাটতি না থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী কর্মচারীর ফাও খাওয়া। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়া রেফারেন্স ও পরে দিচ্ছি অজুহাতে রোজ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে ক্যাফেটেরিয়ায় সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খেতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম তিনদিন পর্যবেক্ষণ করে আনুমানিক রোজ ৪০ এর বেশি শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের বিল পরিশোধ না করেই খাবার গ্রহণ ও ক্যাফেটেরিয়া ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

কিছু শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের বাহিরে অবস্থানরত বড় ভাইয়ের ভুয়া রেফারেন্সেও খেতে দেখা গেছে, তবে ফোনে কথা বলানোর জন্য ক্যান্টিন স্টাফরা বললে হুমকির সুরে জোড়ে কথা বলতে ও জোর পূর্বক খাবার চেয়ে নিতেও দেখা গেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র ক্যান্টিনে রোজ ৮০০-৯০০ শিক্ষার্থীর খাবারের আয়োজন করা হয়। পর্যাপ্ত লোকবল আর সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীদের চাহিদানুরুপ খাবারের যোগান দিতে এমনি অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় ক্যাফেটিরিয়া কতৃপক্ষের। এর মাঝে সমস্যা আর ক্ষতির নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফাও খাওয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলেও ক্যাফেটিরিয়ার পরিচালক মাসুদ সাহেব কিছু বলতে চাননি। নাম প্রকাশে যথেষ্ট অনিচ্ছুক তিনি।
ছাত্রকল্যাণ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, “আমি ছাত্রকল্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ক্যাফেটিরিয়ার খাবারের বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক। খাবারের মান উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন সে সকল ব্যবস্থা আমি নিয়েছি। আরো যা যা করার সে সব পদক্ষেপও সামনে নেওয়া হবে। তবে যারা ফাও খায় তাদের বিষয়ে পুরো তথ্য আমার কাছেও প্রকাশ করতে চায় না ক্যান্টিনের ছেলেরা। দরিদ্র বা অসহায় হলে হয়তো দিনে ১০/১২ জন হতে পারে যাদের সামর্থ্য নাই বলে ফাও খায়। এতে কিছুটা ভর্তুকিতে পোষায় যায়।

তবে সে সংখ্যাটা বর্তমানে দেখায় যাচ্ছে তাতে ক্যান্টিনের যারা কাজ করে তাদের খরচ উঠানোই তো কষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নৈতিক উন্নয়ন খুবই জরুরি।