জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন এমপিরা

ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। তিনি অধিবেশন কক্ষে প্রবেশের সময় উপস্থিত সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে তাকে অভিনন্দন জানান।

এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটায় জাতীয় সংসদে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রস্তাবিত বাংলাদেশ বিমান বিল-২০২৩ এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

বিলের ওপর জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের আলোচনা চলাকালে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। অন্যরা নিজ নিজ চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ালেও রাঙাকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে টেবিল চাপড়াতে দেখা গেছে। এসময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে হাসতে দেখা যায়। তবে বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ টেবিল চাপড়ানোর ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান বক্তব্য দিতে থাকা ফখরুল ইমাম।

এ সময়ে ফখরুল ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যরা হাত তালিটা দিলো, এটাতে মনে হয় অভিনন্দন দিলো নাকি! আমরা জানতে চাই আসলে ঘটনাটা কী হল? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জি-২০ সম্মেলনের প্রত্যেকটা জায়গায় ফায়দা তুলেছেন। এটা ওনার বুদ্ধিমত্তার জন্য পেরেছেন। এ সময় রাঙার দিকে হাত দেখিয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, জি-২০ সম্মেলনের সফলতার জন্য সংসদ সদস্য হাত তালি দিয়েছেন? তখন মসিউর রহমান রাঙাকে মাইক ছাড়া বলতে শোনা যায়, ‘চিফ হুইপ বলতে..’। তখন ফখরুল ইমাম বলেন, চিফ হুইপ (বিরোধী দলের)। আমরা শুনতে চাই সাফল্যগুলো কোন সময় তিনি যদি বলেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাতে দেখা যায়।

দলটির আরেক সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী তার বক্তব্যের সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জি-২০ সম্মেলন থেকে ফিরে এসেছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী, আমরাও তাকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। তার সুযোগ্য কন্যাকে (সায়মা ওয়াজেদ) নিয়ে বড় অর্জন, এ সামিটের সদস্য না হয়েও সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের সম্মানের পক্ষে কথা বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার পক্ষে।