জ্যাককে কেন মেরে ফেলা হয়েছিল ‘টাইটানিক’ ছবিতে?

টাইটানিক ছবিতে কেন জ্যাককে (লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও) মেরে ফেলা হয়েছিল এ প্রশ্নটি অনেক দিন থেকেই ঘুরছিল দর্শকদের মাঝে। জ্যাকের অমন করুণ মৃত্যুতে অনেকে আবার চোখের জলও ফেলেছেন অঝরে। আর পরিচালককে দাড় করিয়েছেন প্রশ্নের কাঠ গড়ায়। এমন তো না করলেও পারতেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন।

ছবির কাহিনী বদলে জ্যাকের সাথে তো রোজের প্রেমকে আরও দীর্ঘ পারতেন পরিচালক! কিন্তু কেন করলেন না? জেমস ক্যামেরন বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রশ্নটি। এ বছরেই সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ছবিটি বিশ বছরে পা দিয়েছে। আর সেই মুহূর্তেই এমন জটিল এক প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি।

ক্যামেরন বললেন, ‘ছবিতে জ্যাককে মেরা ফেলার কারণটা আসলে খুব সাধারণ। মূলত টাইটানিক হল একটি মৃত্যু আর বিচ্ছেদের গল্প। মৃত্যুই দু’জন মানুষকে চূড়ান্তভাবে আলাদা করে ফেলে। তাই জ্যাককে বেঁচে রেখে রোজের সাথে তার মিলন দেখালে ছবিটি পুরোপুরি অর্থহীন হয়ে যেত। আমরা চেয়েছিলাম টাইটানিককে একটি ট্রাজিডি হিসেবেই দেখাতে।’

তিনি আরও জানান, স্ক্রিপ্টের ১৪৭ নম্বর পেজে লেখাই ছিল ছবিতে নায়ক জ্যাক মারা যাবে আর নায়িকা তার স্মৃতি রোমন্থন করেই কাটিয়ে দেবেন বাকিটা জীবন। তাই জ্যাককে না মেরে উপায় ছিল না। আর এজন্যেই ছবির একেবারে শেষ মুহূর্তে গহীন আটলান্টিকের মাঝে রোজ তার কাঠের দরজাটি জ্যাকের সাথে ভাগাভাগি করেননি। চাইলে সেই টুকরোটি ধরে রেখে তারা দুজনই বাচতে পারতেন।

বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সফল ছবি হল টাইটানিক। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরনের এ ছবিটি। আর সে সময় ছবিটি দেখেননি এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। ছবিটির মধ্য দিয়ে পরিচালক চেয়েছিলেন জীবন্ত ইতিহাসকে তুলে ধরতে। ধনীর ঘরের মিষ্টি মেয়ে রোজের সাথে নিম্নবিত্ত ঘরের জ্যাকের প্রেমকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ হয়েছে ঐতিহাসিক এ ছবিটির। ডেকান ক্রনিকল