ঝালকাঠিতে আতঙ্ক কাটলেও দুর্ভোগে অসংখ্য মানুষ

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় পারিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। সেইসাথে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করেছে।

জেলায় সিত্রাংয়ের ঝোড়ো বাতাসে বিভিন্নস্থানে গাছপালা ভেঙে বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। অনেক যায়গায় রাস্তায় সৃষ্টি গর্তের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। নদ-নদীর পানি নামতে শুরু করলেও এখানো পনি বন্দী রয়েছে অনেক এলাকা।

এদিকে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর গাছপালা পড়ে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে এ অঞ্চলে প্রায় দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ও বাঁধগুলোর ক্ষত আরও সস্প্রসারিত হয়েছে। এরফলে বিষখালী নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার পাকা, আধা-পাকা ও কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যামতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে অনেক সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নআয়ের বহু মানুষের বসতবাড়িতে গাছ পড়ে ভেঙে গেছে। যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ লাগবে মানুষ গাছ কেটে সাময়িকভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমনসহ শীতকালীন ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে।