সড়কে ভেঙে খালে, উঠে যাচ্ছে পাথর

ঝালকাঠির রাজাপুরের প্রায় ৪ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার ও ব্রীজের রাস্তা নির্মানে শুভাঙ্করের ফাঁকি

ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নে এলজিইডির সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মোল্লারহাট—শুক্তাগড়—বলারজোর সড়কের ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার সড়ক সংষ্কার ও ব্রীজের এপোর্চ সড়ক নির্মানে অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ওই সড়কে ১ কোটি ২ লাখ টাকারও বেশি বরাদ্দের ২ কিলোমিটার সড়ক সংষ্কার ও হাজিবাড়ি এলাকার ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নির্মান করা সেতুর দুপাশের এপোর্চ সড়ক নির্মানে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা নূর হোসেন, ইয়াসির আরাফাত, টিপু, রাজিব হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কিছু দিন আগে সংস্থার করা ওই সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর উঠে গেছে এবং বেশ কয়েকটি স্থানের সড়ক ভেঙে খালে পড়েছে। এ ছাড়া মোল্লার হাট সংলগ্ন এলাকার রাস্তাটি দেভে বড় গর্তের সৃষ্ট হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানের পাথর উঠে যাচ্ছে। যে কারনে দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া উত্তর শুক্তাগড় গ্রামের হাজিবাড়ি এলাকার ব্রীজের ৩ পাশের সড়কের পাথর উঠে ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা—কর্মচারিদের আর্থিকভাবে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ও সঠিক পরিমান পীচ না দেয়ায় কাজ শেষ হতে না হতেই পাথর উঠে গিয়ে চলাচলে চরম ঝুকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ সড়কটি সাড়ে ১১ কিলোমিটার। যার মধ্যে ২ কিলোমিটার সংকারের জন্য ২ কোটি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পান রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা এবং হাজিবাড়ি এলাকার ওই সেতু নির্মানের জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পান মেসার্স বাদল কন্ট্রাকশন।

এছাড়া ওই সড়কে আরও ২ টি সেতু কাজ চলামান রয়েছে, যার জন্য ২ কোটিরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকি সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্যও আবেদন করা হচ্ছে। উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান এ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিষয় সড়ক সংকার কাজের ঠিকাদার রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা জানান, সড়কের উপর সংষ্কার কাজ করা হয়েছে, সড়কের না। দেভে বা ভেঙে গেলে কিছু করার নেই। তবে সড়কের পাথর উঠে থাকলে তা ঠিক করা হবে।

জানতে চাইলে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মান কাজের ঠিকাদার বাদল হোসেন জানান, ওই সময় সঠিক ভাবেই কাজ করা হয়েছিলো, হয়তো গোবর বা অন্য কোন কারনে উঠে যেতে পারে, বিষয়টি শুনেছি। ঠিক করে দেয়া হবে।

এবিষয় উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানান, সড়কের গর্ত ভরাট এবং উঠে যাওয়া পাথর সংষ্কার করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।