টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বার ৫ উইকেট সাকিবের

ব্যাট হাতে করেছেন ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো ২০০ পেরোনো স্কোর এনে দিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তবে ব্যাটসম্যান সাকিবকে আড়াল করে বোলার সাকিব আরও বেশি উজ্জ্বল। দলকে ৩৬ রানের জয় এনে দিতে ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট।

তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সাকিব। তার আগে এই কীর্তি আছে বাংলাদেশের আর দুজনের। ইলিয়াস সানি ও মোস্তাফিজুর রহমান একবার করে দেখিয়েছেন এই কৃতিত্ব। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইলিয়াস সানি ১৩ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মোস্তাফিজ ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২২ রান খরচায়।

আজ মিরপুরে সাকিব ৫ উইকেট নিয়েছেন তার চেয়ে এক রান কম খরচ করে। মানে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে প্রথম বার ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

অন্য একটা বিষয় সাকিব ও ইলিয়াস সানিকে মিলিয়ে দিল এক বিন্দুতে। ইলিয়াস সানির ৫ উইকেট কীর্তির ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৭১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫ উইকেট কৃতিত্বের ম্যাচে জয় পেলেন সাকিবও। মিরপুরের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।

এখানে ব্যতিক্রম হয়ে থাকলেন মোস্তাফিজ। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে তার ৫ উইকেট কীর্তির ম্যাচেও বাংলাদেশ হেরেছিল ৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে।

আজ বল হাতে এভিন লুইসকে আউট করে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন আবু হায়দার রনি। নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। এরপর বিপদের কারণ হয়ে উঠা শাই হোপকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। বল হাতে এর পরের গল্ডের পুরোটাই বলতে গেলে সাকিব। তিনি একে একে বিদায় করেন শিমরন হেটমেয়ার, ড্যারেন ব্রাভো, কার্লোস ব্রাফেট ও ফাবিয়ান অ্যালেনকে। শেষ দিকে মোস্তাফিজ দুটি এবং মাহমুদউল্লাহ ১ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়েছেন ১৭৫ রানে। অল রাউন্ড নৈপূণ্যে দলের.. রানের জয়ে বড় নায়ক সাকিব আল হাসানই।

টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ওমানের বিপক্ষে। ভারতের ধর্মশালায় ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।