ট্রাস্টি বোর্ডের সভার দিকে তাকিয়ে গণবি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান খুঁজতে বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল ১১ টায় ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে সভায় প্রথমবারের মত অংশ নিতে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ লায়লা পারভীন বানু (চলতি দায়িত্ব)।

২০১১ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসা ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগটির ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদন ও তাদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য শিক্ষার্থীদের দাবি ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট তুলে ধরতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ডাঃ লায়লা পারভিন বানু।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ব্যবসায় প্রশাসন সহ ৭ টি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হবার অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপর থেকেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুমোদনের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। সময়ের সাথে সাথে তীব্র হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও এক্সাম কন্ট্রোলার ভবনে তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ২৪ মে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

এরপর আন্দোলন একটু শিথিল হলেও ২৮ মে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। অবশেষে ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ইউজিসির বিজ্ঞাপনের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখিত বিভাগসমূহে ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে মর্মে রুল জারি করে।

এদিকে আদালত ইউজিসির বিজ্ঞাপনের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিলেও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন থেকে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে এমবিএ কোর্সের জন্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অনুমোদন জনিত জটিলতায় পড়ছে বলে জানালেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাফিয়া সুলতানা। এছাড়াও ইন্টার্নশীপের জন্য শিক্ষার্থীরা একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তুষার জানান, ‘ অনিশ্চয়তায় অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের কথা ভাবছে’।

এদিকে আগামিকাল ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের অনিশ্চয়তার নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আলোচনায় সমস্যার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরতে চান বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ডাঃ লায়লা পারভিন বানু। এজন্য যেসকল শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স কোর্স এবং ইন্টার্নশীপের ক্ষেত্রে জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের কাছে লিখিত বিবরণ চেয়েছেন তিনি। এই বিবরণ সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধানে ভুমিকা রাখতে সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রনি খাঁ জানান, ‘ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের পাঁচশত শিক্ষার্থীই শুধু নয়, সকল শিক্ষার্থীরা তাকিয়ে আছে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের দিকে। তারা যদি এ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেন তবে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই লাঘব হবে’।