ঢাকার ধামরাইয়ে সংবাদ প্রকাশের’ জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা
ঢাকার ধামরাইয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শামীম খানকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজার নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই সাংবাদিককে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শামীম খান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কামার পাড়া গ্রামের মৃত জহির রায়হান খানের ছেলে। তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ধামরাই প্রতিনিধি।
শামীম খানের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালের দিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে পদযাত্রার সংবাদ সংগ্রহ করতে গাংগুটিয়া ইউনিয়নে যান তিনি। তখন পাশেই অবস্থান করছিলেন গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মোল্লা ও তার ভাতিজা আবু বক্করসহ ৭-৮ জন। ওই সাংবাদিককে দেখতে পেয়ে তারা তার ওপর হামলা চালায় ও মারধর করে। এতে তার হাত, পা ও নাকে জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর ছেলে ইমরান খান বলেন, চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে কাদের মোল্লা ও তার ভাতিজা এই হামলা চালিয়েছে।
গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মোল্লা বলেন, কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালন করি। একটিতে আমি নিজে ছিলাম। যেটি শেষ করে আমি পরিষদে চলে আসি। আরেকটি ছিল হাতকোড়া গ্রামে। সেখানেই মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন বিএনপির সঙ্গে থাকা শামীম খান আহত হন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবু বক্করের মুঠোফোনে কল করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ধামরাই থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা একটি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছিলাম। আরেকটি পালন করছিল যুবদল নেতা মুরাদ। তারা মিছিল থেকেই জানতে পারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করছে। ওই দুই মিছিল মুখোমুখি হলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ধাওয়া দেয় এবং শামীম ভাইকে (শামীম খান) মারধর করে।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. রাশেদুল হক জানান, মারধরের কারণে আহত শামীম খানের নাকের একপাশে ৩ টি এবং হাতে ৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার পায়ে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, তার আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন