ঢাকা-কলকাতা-আসাম রুটে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল ক্রুজ

পানিপথে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল ক্রুজ। আগামী বছরের মার্চ থেকে সুন্দরবন হয়ে ঢাকা-কলকাতা নদীপথে এই যান চলাচল শুরু হবে।

রোববার কলকাতায় ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষের সদস্য এসভিকে রেড্ডি এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে গত অক্টোবরে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী মার্চ থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে পানিপথে একটি ক্রুজের চলাচল শুরু হবে। কলকাতা-সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশ পৌঁছাবে সেটি।

দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় নির্ধারিত নৌপথে পণ্য চলাচল সুবিধার জন্য প্রচলিত প্রোটোকল রুট মেনে কলকাতা-সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলাচল করবে ওই ক্রুজ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে নামখানা, বরিশাল, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকা পৌঁছাবে ক্রুজটি। এতে মোট সময় লাগবে ৬ থেকে ৭ দিন। রেড্ডি বলেন, রাতে ভারতীয় অংশে এই ক্রুজের চলাচলের জন্য নেভিগেশন সুবিধা চালু থাকবে। তবে বাংলাদেশও অক্টোবরের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় একই ধরনের সুবিধা দেবে।

ভারতীয় এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের অংশে খনন কাজের জন্য ৮০ শতাংশের বেশি ব্যয় বহন করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় অংশে নাব্যপথ এখন চলাচলের উপযোগী। এছাড়া প্রত্যেকদিন ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে ১৫ থেকে ২০টি বার্জ চলাচল করছে বলে জানান তিনি।

ইতোমধ্যে শহর কেন্দ্রিক ঐতিহ্যবাহী ক্রুজ চালুর জন্য দুই দেশের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে আইডব্লিউএআই। রেড্ডির এ ঘোষণার পর দেশটির ক্রুজ পরিচালনাকারী অন্যান্য কোম্পানিগুলো আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শহর কেন্দ্রিক ক্রুজ অপারেটর ভিভাদা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে একটি ক্রুজ চলাচলের জন্য প্রস্তুত করে। সেই সময় ভিভাদা কলকাতা-ঢাকা রুটে ক্রুজ পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করে।

ভিভাদার পরিচালক আর সুশীলা বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্রুজ চলাচল শুরুর পরিকল্পনা করেছে কোম্পানি। বাংলাদেশ হয়ে আসামের ধুবরিতে প্রবেশ করবে এই ক্রুজ। প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ছয়দিন। এছাড়া যাত্রাবিরতির পাশাপাশি ক্রুজে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান থাকবে। এতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা।