ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, চালকের লাইসেন্স চেক করছে শিক্ষার্থীরা

বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কজুড়ে বিক্ষোভ করছেন অন্তত ২০টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, সিসিআর কলেজ, গোলাম মোস্তফা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নবারুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ অন্তত ২০টি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

এ সময় তারা নিরাপদ সড়ক চাই ও উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানে দিতে থাকে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গাড়ি থামিয়ে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখেন। বিশেষ করে পুলিশের গাড়ির লাইসেন্সও চেক করতে দেখা গেছে তাদের। এ সময় গাড়ির বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাড়ি বিশেষ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

চিটাগাং রোড থেকে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও লাইসেন্স চেক এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আজ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন।