তরুন লেখকরা আগামীর দেশ গড়ার কারিগর: ইবি উপাচার্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, তরুণ লেখকরা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। তারা মননের নির্মাতা। তারা যেভাবে আমাদের আত্মা ও মনকে নির্মাণ করে, ঠিক সেভাবে একটা জাতিকে সেইদিকে ধাবিত করে। এই নির্মাতাদের প্রধান শক্তি হচ্ছে কলম ও তাদের চিন্তাধারা।

রবিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১ টায় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠান-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটা জনগোষ্ঠীকে গড়ে তুলার জন্য এ তরুণ লেখকদের প্রয়োজন। তবে আমাদের দেশে এ তরুণ লেখদের বড়ই অভাব। এই অভাবকে এ জায়গায় থেকেই পূরণ করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির শাখা সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.শেখ আবদুস সালাম। এছাড়াও সংগঠনটির শাখা প্রচার বিষয়ক সম্পাদক তুহিন বাবু ও সম্পাদকীয় পর্ষদ রুখসানা খাতুন ইতির যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ধনঞ্জয় কুমার, কমিউনিকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহানুর ইসলাম ও বর্তমান সভাপতি নেজাম উদ্দীন, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন আজাদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান, সংগঠনটির সিনিয়র সদস্য আব্দুর রউফ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রায় তিন শতাধিক তরুণ লেখক এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন তরুণ লেখক ও সঙ্গীত শিল্পী তবীব মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির শাখা সাধারণ সম্পাদক আবু তালহা আকাশ এর স্বাগত বক্তব্য রাখেন। নবীনদের ব্যাজ ও কলম দিয়ে বরণ করা হয়। প্রবীনদের বিদায় সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও বর্ষসেরা লেখক ও সংগঠককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রথম শাখা হিসেবে লেখক সম্মেলন আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন ইবি শাখা। এবারও কেন্দ্রীয় লেখক সম্মেলনে ইবি শাখার বর্ষসেরা সংগঠক, বর্ষসেরা লেখক ও কেন্দ্রীয় মাসিক সেরা লেখক পুরস্কার অর্জন করেছে।’

উল্লেখ্য, সংগঠনটি তরুণদের মাঝে লেখালেখির আগ্রহ জাগ্রত করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে। লেখালেখির পাশাপাশি সংগঠনটি সমাজ বিনির্মান ও সংস্কারে কাজ করে আসছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৮ টি শাখার মধ্যে পরপর ৪র্থ বারের ‘বর্ষসেরা’ শাখা নির্বাচিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।