ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কচুয়ার বিপ্লব দেব

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিলেন কচুয়ার বিপ্লব কুমার দেব। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় দেয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ত্রিপুরায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি-আইটিবিপি জোট। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিপ্লব কুমারের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন জিষ্ণু দেববর্মন। তবে কারা কোন মন্ত্রিপদে বহাল হচ্ছেন সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

৪৮ বছর বয়সী বিপ্লব কুমার দেব বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবা-মা ত্রিপুরা চলে যায়। এরপর সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তারা। তবে তার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এখনও কচুয়ায় বসবাস করেন। তার চাচা প্রানধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি।

উত্তরপূর্ব ভারতের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের নির্বাচনকে ঘীরে এবার তুমুল উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ত্রিপুরায় প্রায় ২৫ বছরের বামদলের অবসান ঘটিয়ে এবার ক্ষমতা গ্রহণ করল বিজেপি জোট। দুই দশকের বেশি সময় পর এবারই প্রথম নিজেদের দল থেকে কোনো মুখ্যমন্ত্রী পেল ক্ষমতাসীন দল।

২০১৩ সালে ত্রিপুরায় একটিও আসন পায়নি বিজেপি। বিধানসভায় এর আগে কোনও দিন পা রাখতে পারেননি বিজেপির কোনও প্রতিনিধি। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান বিরোধী দল হিসাবেও ছিল কংগ্রেস। তবে এবার আইপিএফটির সঙ্গে জোট করে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনই দখল করে নিয়েছে বিজেপি। তবে এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনো আসনই পায়নি।

ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট প্রথম ক্ষমতায় আসে ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৩ সালের বিধানসভা ভোটেও জেতে বামফ্রন্ট। কিন্তু ১৯৮৮ সালের ভোটে হেরে যায় কংগ্রেস-টিইউজেএস জোটের কাছে। পরের বারের নির্বাচনে অর্থাৎ ১৯৯৩ সালেও ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট। তার পর থেকে আরও চার বার টানা জয় ছিল তাদের। কিন্তু এবার বিজেপির কাছে ধরাসায়ী হয়েছে তারা। এবার বামদল ত্রিপুরায় মাত্র ১৬টি আসন পেয়েছে। গতবার তারা সেখানে ৩৩টি আসন জয়লাভ করে।