দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ সিপিবির(এম)

দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দ্রব্য মূল্য কমানোর দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিপিবি(এম)।

সোমবার (৯ অক্টোবর ২০২৩) সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমানো সরকারের পদত্যাগ ও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)—সিপিবি(এম) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডা. এম এ সামাদ।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৫ বছরে যা উন্নয়ন করেছি সব বন্ধ করে দিবো প্রধানমন্ত্রীর এমন কথার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি তিনি তার ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে দেশের উন্নয়ন করেননি জনগনের টাকা রাষ্ট্রের টাকায় উন্নয়ন করেছেন এবং তিনি বেতন ও সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। এখন দেশে সরকার আছে না নেই বোঝা মুশকিল। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কালোবাজারি করে ইচ্ছে মত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে লুটপাট করছে আর সরকার আবারো কিভাবে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসবে তার জন্য দেশ বিদেশ ছুটোছুটি করছে। দেশে অরাজকতা চলছে দেখার কেউ নেই।

কমরেড সামাদ আরও বলেন, দেশে গনতন্ত্র নেই চলছে একদলীয় ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন, জনগণ আজ আতংকিত। আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। দেশে গুম খুন চাঁদাবাজি কালোবাজারি সিন্ডিকেট লুটপাট দুর্নীতি অর্থ পাচার চলছে চাল ডাল সহ সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ আজ দিশেহারা।

কমরেড সামাদ আরও বলেন, আমেরিকা ভিসা স্যাংশন দিয়েছে এবং তা প্রয়োগ করা শুরু করেছে, এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। শুধু আমেরিকা নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছেন কোন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না কারণ বিশ্ববাসী জেনে গেছে এই সরকার আরও একটা পাতানো নির্বাচন করতে যাচ্ছে, এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ কে আজ আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। সামনে আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বাংলাদেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল বাদ দিয়েছে হাইকোর্টের কাঁধে বন্ধুক রেখে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে।

সিপিবি(এম) সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান বলেন, সরকারের একঘেয়েমিপোনার কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখন হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছে। আমরা এটা চাই না। আমরা ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সামছুল হক সরকার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কমরেড তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কমরেড তারেক ইসলাম বিডি, কমরেড গিয়াস উদ্দিন, কমরেড মামুন, কমরেড জয়, কমরেড রফিকুল ইসলাম, কমরেড মুন্না ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।