দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে মাঁচায় মাঁচায় দুলছে চাল কুমড়া

ধানের জেলা দিনাজপুরে দিন দিন বাড়ছে নানান ধরণের সবজির আবাদ। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি সবজি চাষে কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছেন। তাই ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে ঝুঁকছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষক।

নিরাপদ সবজি চাষে সফলতার পর এবার বীরগঞ্জে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে চাল কুমড়ার চাষ। উপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে মাঁচায় মাঁচায় দুলছে চাল কুমড়া।

এদিকে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮শত ৯৬হেক্টর। এর মধ্যে চাল কুমড়াসহ সবজি চাষ হয়েছে ১হাজার ৭শত ৫০হেক্টর জমিতে। এবারে সবজি চাষের মোট লক্ষ্য মাত্রা ছিল ১হাজার ৮শত হেক্টর জমি।

মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে চাহিদা থাকায় স্থানীয় চাহিদা পুরন করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে বীরগঞ্জে উৎপাদিত চাল কুমড়া। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছে চাল কুমড়া চাষীরা।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের চাল কুমড়া চাষী তোফাজ উদ্দিন জানান, আমি এবছর ২০ শতক জমিতে চাল কুমড়ার আবাদ করেছি। চাষ, সার, ওষুধ সহ আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১৯-২০ হাজার টাকা। সপ্তাহে আমি ৪৫০-৫০০ পিচ কুমড়া পাই। পাইকারি দরে প্রতি পিচ চাল কুমড়া ১৮-২২ টাকায় ক্ষেত হতে পাইকারী ব্যবসায়ীর কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করেছি। এতে কোন ঝামেলা নেই, লাভ ভালো হয়েছে। এর মধ্যে চাল কুমড়া চাষের প্রায় সব খরচের টাকাও উঠেছে।

অপরদিকে চাল কুমড়া চাষী ময়নুল ইসলাম বলেন, গত বছর যে জমিতে ধান রোপন করেছিলাম এবার সেই জমিতে চাল কুমড়া আবাদ করেছি। ধানের চেয়ে চাল কুমড়ায় চাষে বেশি মুনাফা পেয়েছি। এখনও মাসব্যাপী ফল বিক্রি করতে পারব আশা করা যায়। অন্য ফসলের চেয়ে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে চাল কুমড়া চাষের পরিমান বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সঞ্জিত কুমার পাল বলেন, কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলায় সবজি চাষের ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকদের অবদান বেশি। বিশেষ করে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় নিরাপদ সবজি চাষে তারা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। ভালো বীজ নির্বাচন এবং সঠিক পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে রয়েছে। উপজেলায় কৃষিতে সফলতা সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল।