দুবাই পুলিশে যুক্ত হচ্ছে উড়ন্ত মোটরসাইকেল ‘হোভারবাইক’

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিগগিরই নামছে উড়ন্ত মোটরসাইকেল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্টার্টঅাপ হোভারবাইকের টেক এক্সপো জিটেক্সে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে দুবাই পুলিশে যুক্ত হচ্ছে উড়ন্ত এই মোটরসাইকেল।

গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় টেক এক্সপো জিটেক্সে সবুজ এবং সাদা রঙের বিলাসবহুল এই মোটরসাইকেলের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার মার্কিন এই কোম্পানি নতুন অারো একটি উড়ন্ত মোটরসাইকেল আনছে। নতুন এই মোটরসাইকেল ইলেক্ট্রিক উপায়ে হঠাৎ চলন্ত অবস্থা থেকে আকাশে উড্ডয়ন এবং পরে অবতরণ করতে পারবে।

স্টার্টঅাপ হোভারবাইকের সঙ্গে গত বছর দুবাই পুলিশের এক চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী এ বছর প্রথম ধাপে এস৩ ২০১৯ মডেলের হোভারবাইক মোটরসাইকেল ইতোমধ্যে দুবাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার এই কোম্পানি। এছাড়া ইতোমধ্যে নতুন ধরনের এই মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রেনিংও শুরু করেছে দুবাই পুলিশ।

দুবাই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার খালিদ নাসের আল রাজুকি বলেছেন, নতুন এই বাইকে করে প্রত্যন্ত এবং দূর্গম এলাকায় পৌঁছানো সহজ হবে। তবে প্রশিক্ষণ শেষে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দুবাই পুলিশ পুরোদমে নতুন এই মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দুজন কর্মীকে (হোভারবাইকের চালক) প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং এ সংখ্যা আমরা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করবো। হোভারের প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা জোসেফ সেগুরা-কন বলেন, যোগ্যরাই এ মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। এই চালকদের ড্রোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

গত মাসে অনলাইনে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আমিরাত পুলিশের এক সদস্য নতুন এই হোভারবাইক পরিচালনা শিখছেন। দুবাই পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী আগামী আরো হোভারবাইক সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন সেগুরা কন।

তবে পুলিশ ছাড়াও সাধারণ মানুষও এই হোভারবাইক কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে প্রত্যেক বাইকের জন্য গুণতে হবে দেড় লাখ ডলার; যা বাংলাদেশি প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ টাকা।

সাধারণ মানুষ এই বাইক কেনার সুযোগ পেলেও সতর্ক করে দিয়ে সেগুরা-কন বলেছেন, নতুন প্রযুক্তির এ বাইক পরিচালনার সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে তাদের।

সূত্র : সিএনএন