দেশে এলএসডি ব্যবসায় সক্রিয় ১৫ গ্রুপ

ভয়ংকর মাদক এলএসডি বিক্রিতে দেশে ১৫টি গ্রুপ সক্রিয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি গ্রুপকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (৩০ মে) রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকা থেকে এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ, এসএম মনওয়ার আকিব, নাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুস সালেকীন। এদের সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাজা উদ্ধার করা হয়।

রোববার (৩০ মে) সন্ধ্যায় পল্টন থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ।

তিনি বলেন, ‘গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এলএসডি বিক্রি ও সেবন করে আসছিল। অনলাইনে এলএসডি বিক্রি করত তারা।আটক ব্যক্তিরা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আসক্ত হয়। নিজেরা সেবন ও বিক্রি শুরু করে। ইউরোপীয়ান বিভিন্ন দেশ থেকে তারা এলএসডি দেশে এনে বিক্রি করছিল।’

দেশে এলএসডি কিভাবে আসে এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কুরিয়ার ও ল্যাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৪-১৫টি গ্রুপ দেশে এলএসডি বিক্রিতে সক্রিয়। আমরা এই গ্রুপগুলোর সকল সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি।’

মাদক হিসেবে ভয়ংকর এলএসডি, যার পুরো নাম লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথেলামাইড।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর জেরে তার কয়েকজন বন্ধুকে আটকের পর আলোচনায় আসে এই মাদক।