নরসিংদীতে ওযার্ড সম্মেলনকে ঘিরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও পথযাত্রা জনতার ঢল

নরসিংদীতে বিবাদমান আওযামী লীগের দুটি গ্রুপের বিরোধ যেন চরম আকার ধারণ করছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আওযামী লীগের একটি গ্রুপের ওযার্ড সম্মেলনকে ঘিরে অপর গ্রুপ প্রতিবাদ সমাবেশ ও পথযাত্রা করেছে।

জানা যায, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের মেযর সমর্থিত গ্রুপটি শহরের বিলাসদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয মাঠে ১ নং ওযার্ড আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ডাক দিলে অপর গ্রুপ (এমপি সমর্থিত) এর প্রতিবাদে শহরের আল্লাহু চত্বর এলাকায এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও পথযাত্রা করে।

এমপি সমর্থিত গ্রুপটির প্রতিবাদ সভায সভাপতিত্ব করেন সদ্য সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষিত নরসিংদী শহর আওযামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক। এ সময অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয যুগ্ম সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন ভূঁইযা, সাবেক কৃষকলীগের কেন্দ্রীয নেতা আমিরল ইসলাম ভূঁইযা, নরসিংদী জেলা আওযামী লীগের শিক্ষা ও ছাত্র বিষযক সম্পাদক এস এম কাইযুম, নরসিংদী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেযর রিপন সরকার, নরসিংদী জেলা আওযামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওযালিউর রহমান আজিম, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মিযা মোহাম্মদ মনজুর, জেলা আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষিত শহর আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু দীপক কুমার সাহার সঞ্চালনায প্রতিবাদ সমাবেশে নরসিংদী জেলা , থানা, শহর আ লীগের নেতৃবৃন্দ, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিযনের চেযারম্যান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ, সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা মেয়র সমর্থিত গ্রুপে সম্মেলনকে একতরফা ও মনগড়া আয়োজন দাবি করেন। আর এই মনগড়া সম্মেলনের বিরোধীতা করে তাদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও পদযাত্রা।

সমাবেশ চলাকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এবং বিভিন্ন ইউনিযন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে এসে যোগ দেয। এসময় মিছিলে মিছিলে মুখরিত হযে উঠে সমাবেশস্থলসহ এর চারপাশ। কানায কানায পূর্ণ থাকে সমাবেশস্থলসহ পুরো আল্লাহু চত্বর এলাকা।
সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যাবার উদ্দেশ্যে পথযাত্রা শুর করে। পথযাত্রাটি শহরের শাপলা চত্বর এলাকায আসলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পুলিশি বাধায পরে পথযাত্রাটি সম্মেলনস্হলে যেতে না পেরে শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামরজ্জামান কামরল এবং সাধারণ সম্পাদক ও বতর্মান মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চুকে শহর আওয়ামীলীগের ৬৩ সদস্যের মধ্যে ৩৯ সদস্যের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের এমপি নজরল ইসলাম হীর সমর্থিত গ্রুপটি। যদিও এসময় কমিটির কোন সভা বা ৩৯ সদস্যের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে সাক্ষরিত কোন প্রমান তুলে ধরা হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।

এরপর থেকে শহর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেলক হককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার সাহাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দাবী করে আসছে আওয়ামী লীগের একাংশ।