নরসিংদীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর রায়পুরায় দুই যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে রায়পুরা উপজেলার নিলকুঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ দীঘিপাড়া গ্রামের ধনঞ্জয় দাসের ছেলে সানন্দ দাস (৫৫) ও একই উপজেলার চৌরাগুধা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে রেনু মিয়া (৬৬)। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চৌরাগুধা গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে মো কামাল মিয়াকে (৩৫)। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন কালিকচ্ছ ইউপি সদস্য মো. সাইদুর রহমান মেম্বার।

তিনি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে নরসিংদী এলাকায় মো কামাল মিয়া (৩৫) মারা গেছে। স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।

আহতরা হলেন- পিকআপ চালক আবদুল জলিল (৫৫), সহকারী মো মাহমুদ আলী (৩৩) ধর্মতীর্থ গ্রামের কেশব দাশ (২৫), সুধাংশো দাশ (৪৫), সবুজ মিয়া (৩৩)। তারা সবাই একই উপজেলার এবং পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে রায়পুরার নিলকুঠি এলাকায় একটি বিআরটিসি বাস চাকা পাংচার হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ভৈরবমুখী কিশোরগঞ্জের একটি যাত্রীবাহী বাস বিআরটিসি বাসের পেছন থেকে জোরে ধাক্কা দেয়। একই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা নরসিংদীর ইটাখোলাগামী মাছভর্তি পিকআপটি দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটিকে ধাক্কা দেয়। একই সঙ্গে দুটি বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয় এবং আহত হন আরও ১০ জন।

খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে এবং আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক জানান, নিহতদের মরদেহ এখনো ভৈরব হাইওয়ে থানায় আছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।