নরসিংদীতে প্রাণিসম্পদ মেলা, লক্ষ্য নতুন উদ্যোক্তা তৈরী

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজালের যুবক বিজয় মোহাম্মদ সবুজ।
তিনি জানান, প্রাপ্ত বয়স্ক মা খরগোশ বছরে ৪ থেকে ৬ বার বাচ্চা দেয়। প্রতিবার ২টি থেকে ৮টি বাচ্চা দেয়। তৃণভোজী এ প্রাণীটি অল্প পুঁজি ও জায়গায় পালন বেশ লাভজনক। বাণিজ্যিক ভাবে খরগোশ পালন করতে চান তিনি।
শনিবার (৫ জুন) রায়পুরা পৌর এলাকার শ্রীরামপুর গরুবাজার মাঠে উপজেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে এসব কথা জানান যুবক সবুজ।

এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

উপজেলার লোচনপুরের যুবক আজিম প্রধানের সঙ্গে কথা হয় আসিল মোরগ নিয়ে।
জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থেকে আনা প্রাপ্ত বয়স্ক একটি মোরগের দাম ৮ হাজার টাকা। তার মতো অনেক উদ্যোক্তা স্টলগুলো প্রদর্শন করছেন উন্নত জাতের গাভী, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, কবুতর, মোরগ, হাঁস, খরগোশ, টার্কি।

এসব প্রাণি দেখতে ভীড় জমান নানা পেশার মানুষ। মেলা আসা অনেক দর্শনাথর্ী খামারীদের সংগ্রহ করছেন তথ্য।

সুমন নামে এক যুবক জানান, প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখছেন। চাকরির পিছনের না ছুঁটে তিনি একজন উদ্যোক্তা হতে চান। অল্প পুঁজিতে উন্নত জাতের ছাগল পালন তার লক্ষ্য। এ ধরণের প্রদর্শনী নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে। এতে করে বেকারত্ব দূরীকরণসহ দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে।

রায়পুরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতার্ মো. আজহারুল আলম বলেন, মেলার মূল লক্ষ্য হলো উদ্যোক্তা তৈরী করা। যা দেশ গঠনে কাজে লাগবে। দুধ ও মাংসে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে। শহরের সঙ্গে প্রান্তি খামারীতে বাজার তৈরী করাও এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এতে করে খামারীরা উৎপাদিত মাংস ও দুধের ন্যায্য মূল্য পাবে।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার ১৪৬১ জন খামারীকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরো ৮৩০ জনকে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে। মেলায় মোট ৩০টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি স্টল খামারীদের, ৩টি প্রকল্পের পরিচিতির জন্য ও বাকি দুটি ঔষধ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্টল।
রায়পুরা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজগর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। ওই সময় উপস্থিত ছিলের, পোল্ট্রি ও ডেইরী কনসালটেন্ট ডাক্তার মো. মিরাজ হোসেন প্রমুখ।