নরসিংদীতে ফের খোকনের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ভাংচুর

নরসিংদীতে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রল কবির খোকনের বাসভবন ফের ভাংচুর ও প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এসময় খায়রল কবীর খোকনকে নরসিংদী জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তারা।

শনিবার ২০ মে দুপুরে সদর উপজেলার চিনিশপুরের বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার জেলার সিনিয়র নেতাদের নিয়ে চিনিশপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে মিটিং করার কথা ছিল যুগ্ম মহাসচিব খায়রল কবির খোকনের। এমন খবর পেয়ে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিএনপি কার্যালয়ে খায়রল কবির খোকন এবং জেলা বিএনপি নেতাদের কেউ না গেলে পদবঞ্চিত প্রায় অর্ধশত ছাত্রদল নেতাকর্মী হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল ছুড়ে কার্যালয়ের জানালার গ­াস ভাংচুর করে ও কার্যালয়টির প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রল কবির খোকনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে স্লোগান দেয় তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রল কবির খোকন বলেন, আমি ঢাকা থেকে খবর পেয়েছি আমার চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে কিছু সন্ত্রাসী ও সরকারের দালাল ঢিল ছুড়েছে। এসময় বাসভবন ও অফিসে কেউ ছিল না। হামলাকারী কারা খোঁজ করে ও দলীয়ভাবে আলোচনা করে তাদের বিরদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তারা সন্ত্রাসী তারা আমাকে অবাঞ্চিত করলেই কি না করলেই কী?

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। হামলা ভাংচুরের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই পদ বঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আসছে জেলা বিএনপি কার্যালয়টিতে। এসব ঘটনায় ৩ জন ছাত্রদল নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, ঘোষণা হওয়া ছাত্রদলের কমিটিতে বিভিন্ন মামলার আসামী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের রাখা হয়েছে। এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।