নরসিংদীতে হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

মোটরসাইকেল ছিনাতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার আলামিনকে হত্যার পর মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। দীর্ঘ ৫ বছর মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নরসিংদীতে সহকারী প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) আলাামিন হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কারাগারে আছে। বাকি সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিরা হলো- (১) মরিচাকান্দি গ্রামের আ: করিমের ছেলে নুরুল আমিন ওরফে রাহুল, (২)ভাটেরচর দ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো: হৃদয় মিয়া, ৩) মরিচাকান্দি গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে মো: কাউসার মিয়া, (৪) দুলালকান্দি এলাকার আওয়াল মিয়ার ছেলে মাহিন, (৫) একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম শুভ, (৬) দড়িচন্ডিবের গ্রামের জসিম উদ্দিরে ছেলে সুমন ওরফে সুন্দর সুমন, (৭) বাঁশগাড়ী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আশ্রাব উদ্দিন ওরফে শাকিল (৮) রায়পুরা সাহেরচর গ্রামের কঠিল উদ্দিনের ছেলে রিপন, (৯) নোয়াকান্দি গ্রামের মহাজ উদ্দিনের ছেলে সাইদুর ও (১০)বেলাবো ভাটেরচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রুবেল। এদের মধ্যে মাহিন ও রাকিবুল ইসলাম শুভ কারাগারে রয়েছে। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে।

নিহত আলামিনের মামা ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের আশা ছিল হত্যাকারিদের ফাঁসি দেয়া হবে। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হব।

বাদীপক্ষের মামলার আইনজীবী এ্যাড. খন্দকার হালিম বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।