নরসিংদীতে ২ ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে কোন্দলের জেরে গুলি করে দুই ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৮ মে) দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলা মোড়ের কোর্ট রোডে এই মানববন্ধন করা হয়।

এতে জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মী, নিহতদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে জড়িতদের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেয়া হয়।

মানববন্ধনে হত্যার নির্দেশদাতা আসামী কেন্দি্রয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রল কবির খোকনসহ হত্যায় জড়িত সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয়। এসময় খায়রল কবির খোকনকে হাজীপুর ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষণা করাসহ তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

এর আগে শহরের আরশীনগর থেকে হত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন এলাকাবাসী।

মানবন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুরের বড় ভাই আলতাফ হোসেন, স্বজন বীরমুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সিনিয়র সহসভাপতি মাইন উদ্দিন ভুইয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ তুষার, ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ফাহিম ভুইয়া অভি প্রমুখ।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন স্থানে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাদেকুর রহমান (৩২) ও সাটিরপাড়া সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল ইসলামের ছেলে ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম (২০)।

এই ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রল কবির খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির কেন্দি্রয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায এই মামলা করেন। জেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎসহ মামলার ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক অভিজিৎ চৌধূরী বলেন, জোড়া খুনের মামলায় এখন পর্যন্ত তিন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।