নরসিংদীর রায়পুরায় টেটাযুদ্ধের প্রধান কারণ স্থানীয় রাজনীতি

নরসিংদীর রায়পুরায় চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক কুচক্রী মহল তাদের দুর্নীতি ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষদের মধ্যে টেটাযুদ্ধ লাগিয়ে রাখছে।

তেমনি চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা জালাল উদ্দিন, শাহিন মিয়া, কামাল সহ অধিকাংশ লোকজন সংবাদকর্মী রুদ্র এর নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় টেটাযুদ্ধ হলে আমাদেরকে অবশ্যই যেতে হয়। কারণ কিছু অসাধু রাজনীতিবিদরা তাদের অবৈধ ক্ষমতা খাঁটিয়ে প্রতি ঘর থেকে টেটাযুদ্ধের জন্য চাঁদাবাবদ ২০ থেকে ৪০ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাকে অবৈধ ক্ষমতার দাপটে একঘইরা করে দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মারামারিতে যাচ্ছি।

এদিকে বাঁশগাড়ী এলাকার বাসিন্দা রাহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী সহ অনেকে এই গন্ডগোলের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রবাসে চলে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও রেহাই পাচ্ছে না আমার অসহায় পরিবার। টাকা না দিলে তারা আমাদের গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়ে আমরা টাকা দিই। এই পর্যন্ত আমি আমার বিয়ের পর প্রায় শতাধিক মানুষের প্রাণ যেতে দেখেছি এবং প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা কালু মিয়া সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, আমি বর্তমানে সত্যের পথ বেছে নিয়েছি। কারণ বিগত সময়ে আমার চোখের সামনে অনেক মানুষ এই টেটাযুদ্ধে নিহত এবং আহত হয়েছেন। অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে। তাই আমি নিজ অর্থায়নে এমনই অসহায় পরিবারের অনেক মানুষকে বিয়ে সহ ব্যবসার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছি। তাছাড়া আমি নিজে উদ্যোগ নিয়েছি ও গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক করে সবাইকে সচেতন করছি যাতে করে এই ভয়ংকার হিংসাত্মক টেটাযুদ্ধে কেউ অংশগ্রহণ না করে।

এদিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, প্রতিহিংসা এবং কিছু অসাধু রাজনীতিবিদদের কারণে এই ভয়ংকর টেটাযুদ্ধগুলো হচ্ছে। রাজনীতিবিদরা ইচ্ছে করেলই এই টেটাযুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।