নারীরা গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা কমবে : সৌদি মন্ত্রী

সম্প্রতি নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। ফলে প্রথমবারের মতো দেশটিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন নারীরা। মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়ে সৌদির বাদশাহ সালমান একটি আদেশ জারি করেন।

নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দেশটির নারীরা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে গাড়ি চালানোর অনুমতি পেলেন।

সৌদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সৌদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, নারীদের ওপর গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় গাড়ি দুর্ঘটনা কমে যাবে।

তিনি বলেন, নারীরা গাড়ি চালালে সড়কে নিরাপত্তার বিষয়টি শিক্ষাগত অনুশীলনে পরিণত হবে এবং দুর্ঘটনার কারণে মানুষের মৃত্যুর হার কমানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতিও কমবে।

বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই এবং এ কারণে বহুদিন ধরে সমালোচনা এবং বিতর্ক চলে আসছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার সৌদি বাদশাহ নারীদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী পুরুষ ও নারী উভয়ের উপর সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত আছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ হিসেবেও মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

সৌদি আরবে প্রতি বছর বহু মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। দেশটিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। ভিশন ২০৩০য়ের আওতায় দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।

রাজকীয় এই আদেশ অনুযায়ী নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। তবে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে তা কার্যকর হবে। প্রয়োজনীয় শরীয়াহ মানদণ্ড অনুসরণ করেই এই নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।