নিম্নচাপে দমকা হাওয়ায় যশোরে রোপা আমন ধানের ক্ষতি

নিম্নচাপের প্রভাবে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে গত দুই/তিন দিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় চলতি রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে রাজগঞ্জ অঞ্চলে কয়েকশ হেক্টর রোপা আমন ধানগাছ বাতাসে ধুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যাওয়ায় তা পঁচে নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা রয়েছে চরম হতাশায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।

এবছর রাজগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকেরা রোপা আমনের বাম্পার ফলনের আশা করলেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুইদিনের বৃষ্টি আর বাতাসে রাজগঞ্জ অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের ধানগাছ দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছে। ফলে রাজগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের আমন ধান ক্ষেত নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

রাজগঞ্জের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের জমিতে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকা ধানগাছ গোঁছা বেঁধে দাঁড় করিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আবার অনেক কৃষক ধান গাছ নষ্ট হওয়ার আশংকায় রয়েছেন।

রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের কাঁঠালতলা গ্রামের কৃষক মো. নিছার আলী জানান, বৃষ্টি ও বাতাসে ধানগাছ ক্ষেতে পড়ে গেছে। এ অবস্থায় বেশি দিন থাকলে তা পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে।

ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের কৃষক মো. মফিজুর রহমান জানান, ক্ষেতে যেসব ধানগাছ দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে পড়ে আছে, সে ধানগাছে ধান হবে না। চিটা হয়ে যাবে। ফলে দুমড়ে-মুচড়ে পড়া ধানগাছ কেটে গো-খাদ্য করায় ভালো।

ঝাঁপা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেনসহ অনেকে জানান, ধানের শীষ বের হচ্ছে, এমন সময় এই ক্ষতি হয়েছে। এবছর আমনে ভালো ফলন আশা করেছিলাম। কিন্তু হবে না। ফলন ভালো না হলে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে।

ঝাঁপা ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরথ চন্দ্র বলেন, মাটিতে পড়ে যাওয়া ধানগাছ গোঁছা বেঁধে দাঁড় করিয়ে দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছায়া জায়গার জমির ধানগাছ দুমড়ে-মুচড়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে পড়ে যাওয়া ধানগাছ আবার বেঁধে দিলে বেশি সমস্যা হবে না।