নির্বাচন ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু হলেও আমি জয়ী হব

যতই বাধা আসুক তাদের নির্যাতনে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তবুও যদি ৫০ শতাংশ সুষ্ঠু হয় তাহলেই আমি জয়ী হব। আওয়ামী লীগ নগ্ন কারচুপি, টেবিল কাস্ট করেও জয়ী হতে পারবে না।

বুধবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলা জালালসাফ গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ-১ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া।

ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার আমাদেরকে অফিসিয়ালি জানিয়ে দিক যে, তারা ভোটের প্রতিযোগিতায় অভ্যস্থ না। তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন চায়। তারা চায় বিরোধী দল সরে যাক। তারা পোষা বিরোধী দলে অভ্যস্থ। দেশের মানুষের সামনে তারা ওপেনলি বলে দিক। সেটিই ভালো। তাহলে আমরা তা বিবেচনা করে দেখব। আওয়ামী লীগের অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর।

তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে কোনো প্রচারণা করতে দেবে না। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। ইলেকশন কমিশন কী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাজিরবাজার থেকে গণসংযোগ করে ফেরার পথে ব্রিজের কাছে পুলিশ তার গাড়িবহর থামায়। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়িসহ দু’টি গাড়ি ছেড়ে দিলেও বাকি ৪টি মাইক্রোবাস এবং ৮টি মোটরসাইকেল আরোহী ৩২ জনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। অন্ধকারে তারা গাড়ি থামিয়ে এ অভিযান চালায়। পোশাক পরা বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং সাদা পোশাকে আরও কয়েকজন ছিল। আটকদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবি মামলা দিয়েছে। মামলার কোন হিসেব নেই। আমর প্রচারণা অত্যন্ত সফল হচ্ছে। তা দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

নিজের এজেন্ট দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এজেন্টদের তালিকা তৈরি করছি। গ্রেফতারের আশংকায় তাদের নাম এখনও প্রকাশ করছি না। বাবাকে না পেয়ে আমার সমর্থকের ১৬ বছরের এক ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার জামিন করিয়েছি। এরপর তার বিরুদ্ধে আরও একটি জনপথ অবরোধের মামলা দিয়েছে।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, অন্ধকারে কে জনপথ অবরোধ করেছে কেউ জানে?