নড়াইলে ড্রেজার ও ভলগেটসহ আটক ৫

নড়াইলের কালিয়ার উপজেলার দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারী ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী।

বুধবার (০৩ জানুয়ারি) শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাধ্যমে ড্রেজারগুলো তুলে নিতে বাধ্য করে।

এদিকে নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনকালে তিনটি ড্রেজার, একটি ভলগেটসহ পাঁচজনকে আটক করেছে বড়দিয়া নৌ-পুলিশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এক বছর ধরে কালিয়ার যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলারে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে বালি উত্তোলনের ফলে একটি বাজার, তিনটি মসজিদ, একটি মন্দিরসহ কয়েকশ’ একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙে গেছে।

দেওয়াডাঙ্গা ও নোয়াগ্রামের আসলাম, জহির মোল্লাা, ইলিয়াছ মোল্লা জানান, নদীর কিনারা থেকে এভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করতে যুবলীগ নেতা রবিউলকে অনুরোধ করেন। তিনি কারোর কথা কর্ণপাত করেননি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি বালি উত্তোলন চালিয়ে যান। যাতে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, প্রশাসন বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ করার হলেও অজ্ঞাত কারণে তারা কখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন।
কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রবাবশালী একটি চত্র বালি উত্তোলন করে কোটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় আজ সাধারণ জনগণ নদী থেকে ড্রেজার সরাতে বাধ্য হয়েছে।

অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি চর ইজারা নিয়েছি। সেটা প্রশাসনের নজরে আছে।’

এদিকে বড়দিয়া নৌ-পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকালে তিনটি ড্রেজার, একটি ভলগেটসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।

বড়দিয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।