পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিকে পা ধরাতে বাধ্য করলেন ‘ঢাবি শিক্ষক’!

গাড়িতে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর সড়কে এক বাসচালকের সঙ্গে ক্ষমতার দাপট দেখালেন একজন শিক্ষক। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী বাসচালককে তার (শিক্ষকের) পা ধরাতে বাধ্য করলেন। যিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দাবি করেছেন। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ‌‘শিক্ষক’ এর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি নিজের প্রাইভেটকারটিতে একটি স্টিকার ব্যবহার করেছেন। সাধারণত অনুরূপ স্টিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্যবহার করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন থেকে গাড়ির স্টিকারগুলো ইস্যু করা হয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, মুখে দাড়িওয়ালা পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী এক ব্যক্তির শার্টের কলার ধরে নাজেহাল করছেন কালো পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তি। এসময় তিনি ওই লোকের শার্টের কলার ধরে এদিক সেদিক টেনে টেনে বলেন, ‌‌‘পুলিশ ডেকে তোকে মাইরা থানায় দিব, এখন আমি, ঢাকা ভার্সিটির গাড়ি এটা। ….শিক্ষক বসে আছে গাড়িতে, শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। কোনো রাস্তার মাস্তান না আমি। এলাকার মাস্তান আমরা। ঢাকা ভার্সিটির মাস্তান। বুঝতে পারছোস। তুই গাড়িতে লাগাইছস। স্বীকার কর তুই লাগাইছিস। পায়ে ধইরা মাফ চা।’

পুরো সময় ধরে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিটি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও তাতে কান দেননি ওই ‌‘শিক্ষক’। এক পর্যায়ে সেই বৃদ্ধ পা ধরে মাফ চাইলেন, তিনি (শিক্ষক) বললেন, ‌‘যা এবার যা, সাবধানে গাড়ি চালাইবি। বুঝেশুনে গাড়ি চালাইবি।’

এরপর ওই ‘শিক্ষক’ নিজের গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে নিন্দার ঝড় বইছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও শিক্ষক পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেছেন। কেউ কেউ থাকে ধরে থানায় সোপর্দেরও দাবি তুলেন। বিষয়টিকে কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয় বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ওই ব্যক্তি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে তার শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিকে গভীর রাতে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন