পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দুশ্চিন্তায় দৌলতদিয়ার হকার-ব্যবসায়ীরা

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রী কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন দৌলতদিয়া ঘাটের খেটে খাওয়া মানুষ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকাররা। সংসার চালাবেন কীভাবে তাই নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।

জানা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাটে হকাদের সংখ্যা রয়েছে এক হাজার ৪১১ জন। তাদের মধ্যে দৌলতদিয়া ঘাট হকার বহুমুখী সমবায় সমিতিতে রয়েছেন ৮৮১ জন, লঞ্চ ঘাট হকার সমিতিতে রয়েছে ১৭০ জন এবং ফেরিঘাট ঐক্য কল্যাণ সমিতিতে রয়েছে ৩৬০ জন।

ঘাটে তিলের খাজা বিক্রিতা গোলজার বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আজ ১৫ বছরধরে ঘাটে হকারি করে সংসার চালাচ্ছি। আগে প্রতিদিন ঘাটে খাজা বিক্রি করছি ১২শত থেকে ১৩ শত টাকা। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়াতে গাড়ি ও যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। ফলে আগের মত আর বিক্রি করতে পারছি না। এখন সারা দিনে মাত্র ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা বিক্রি করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে সংসার চলবে কেমন।’

ঘাটের হকার ছামাদ বলেন, ‘আমি আজ ১৩ বছর ধরে ঘাটে হকারি করে সংসার চালিয়ে আসছি। ঘাটে কখনো খাজা বিক্রি করি, কখনো পিয়ারা বিক্রি করি। আজ কয়েক দিন ধরে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় ঘাটে গাড়ি ও যাত্রী কমে গেছে। এতে কমে গিয়েছে বেচাকেনা। ফলে সংসার চলাতে হিমশিম খাচ্ছি। এটা ছেড়ে দিয়ে কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট হকার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. লাল্টু মন্ডল বলেন,হকারা প্রতিদিন ঘাটে বেচাকেনা করে সংসার চালায়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় সকল গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে গাড়ি ও যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। এতে কমেছে হকারদের বেচাকেনা।ফলে বর্তমান অবস্থায় তাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিআইডাব্লিউটিসি ঘাট সহকারি ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে ঘাটের উপর গাড়ি ও যাত্রীর কমে গেছে। ফেরি ঘাটের দুপাশে খাবার হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং যাত্রী না থাকায় বেশ কয়েকটি লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেচাকেনা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ঘাটের হকাররাও।