এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ের প্রথম দিনে দীর্ঘ যানজট

ঢাকা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (পূর্ববর্তী নাম ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) শুরুর প্রথম দিনে টোল আদায়ে ধীরগতি দেখা গেছে। টোল প্লাজার সবগুলো বুথ চালু না হওয়ায় এক্সপ্রেসেরওয়েতে যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।

এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত এই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেকে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টায় (১ জুলাই) টোল আদায় শুরু হয়। ফরিদপুর প্রান্তে ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় আজ শুক্রবার সকালে দুই কিলোমিটারের মতো এলাকাজুড়ে যানবাহনের সারি তৈরি হয়। টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে বগাইল টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়।

বগাইল টোল প্লাজার উপব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখানে ১০টি বুথের মধ্যে ৪টি সচল রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি থাকায় অল্পসংখ্যক টোল আদায় বুথ দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা চেষ্টা করছেন দ্রুত বাকি ছয়টি বুথ চালু করার। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সকালের দিকে যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিল। পরে আরও একটি বুথ চালু করায় আস্তে আস্তে জট কমছে। তবে এখনো এক কিলোমিটারের মতো যানবাহনের সারি রয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা–ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিয়া এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এই মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, মোটরবাইক ১০ টাকা। এ ছাড়া ট্রাকের ক্ষেত্রে ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয় ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাকের ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ট্রাকের ক্ষেত্রে ২২০ টাকা দিতে হবে।