পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহিমান্বিত রজনি পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।
পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি। এ রাত ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল হয়। আল্লাহতা’য়ালা বলেন, “আমি কদররাতে কোরআন নাযিল করেছি”। তাই মুসলিম উম্মাহ’র নিকট শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকী-লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। এই মহিমান্বিত রজনি সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ মোনাজাত করি।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি, যখন বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। আসুন শবে কদরের পবিত্র রজনিতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে এ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। মহান আল্লাহ আমাদের মোনাজাত কবুল করুন। আমিন।

জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনি। সিয়ামসাধনার মাসের এ রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তির পথ দেখায়।
মহান আল্লাহতা’য়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ইবাদত -বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্যলাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।
আসুন, আমরা সকলে মহিমান্বিত রজনিতে মহান আল্লাহতা’য়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও
দোয়া-প্রার্থনা করি, যেন আল্লাহ বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনা-ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন।
পবিত্র রজনিতে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও
মুসলিম-জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

তথ্যবিবরণী-পিআইডি