পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে মাদক মামলা

এবার জিমির বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি করেছে পুলিশ। এ মামলায় জিমিকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।

চিত্রনায়িকা পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ জিমিকে শুক্রবার (৬ আগস্ট) গুলশান থেকে আটক করে পুলিশ।

পরে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন অর রশিদ জানিয়েছিলেন, পরীমনির ‘অবৈধ কাজের’ সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে পরীমনির সর্ম্পকের খবর পাওয়া গেছে। তদন্তের খাতিরে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় পরীমনির। নিয়মিত কথা বলতে গিয়ে তৈরি হয়েছে প্রেমের সম্পর্ক। প্রায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন তারা। ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন পরীমনি। পাওয়া গেছে সিসিটিভির ফুটেজও।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ১ আগস্ট ৮টা ১৫ মিনিট। পরীমনির সাদা রংয়ের হ্যারিয়ার গাড়িটি থামে মধুমতি ভবনের সামনে। এরপর সাদা রংয়ের স্লিপিং গাউন পরে নামেন পরীমনি। নায়িকার কোলে ছিল তার পোষা কুকুরটি। বাসভবনের নিচে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে বাসার চাবি নেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর দুজন লিফটে করে বাসায় যান। এরপর পরীর গাড়ি থেকে একটি ট্রলি ব্যাগও ওই বাসায় নেওয়া হয়।

এরপর রাত দেড়টার দিকে আবারও ওই বাসার সামনে আসে পরীর গাড়ি। রাত সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে নিচে নেমে আসেন পরীমনি। তার সঙ্গে ছিল পোষা কুকুর আর ট্রলি ব্যাগ। সকালে পরীমনির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক আর সাকলায়েনের পরনে ছিল সাদা টিশার্ট।

ওই কর্মকর্তার নাম গোলাম সাকলায়েন শিথিল। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত। রাজারবাগ অফিসার্স কলোনীর মধুমতি ভবনের ৯/সি সরকারি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।

সবশেষ গত ১ আগস্ট ওই ফ্ল্যাটেই গিয়েছিলেন পরীমনি। ১৮ ঘণ্টা ওই বাসায় অবস্থান করেছিলেন পরীমনি ও সাকলায়েন। জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেছেন এ নায়িকা।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা হয় পরীর বিরুদ্ধে। ওইদিনই সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরীমনি।

জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত তিনি। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য নিজের ফ্ল্যাটে মিনিবার স্থাপন করেছেন। পরীর বারে বিদেশি মদ থাকত। সেগুলো সরবরাহ করত নজরুল রাজ।