পর্নো ব্যবসায় পরীমনির সঙ্গে যেসব মডেল-অভিনেত্রী!
অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও অভিনয়ের চেয়ে বেপরোয়া জীবন যাপন ও খুব অল্প সময়ে বিপুল অর্থ সম্পদের জন্যই বেশি আলোচনায় পরীমনি। তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত।
এর আগে চিত্রনায়িকা পরীমনি ও মডেল পিয়াসার অন্যতম সহযোগী রাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনানীর বাসায় অভিযানের পর তাকে আটক করে র্যাব।
পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব। এদের মধ্যে রয়েছেন কথিত মডেল নায়লা, মৃদুলা, জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র্যাবের তালিকায়।
র্যাব বলছে, পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত। এদের মধ্যে আছেন-জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। এছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসাবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র্যাবের তালিকায়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, পরী সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পার্টির নামে সেক্স ও মাদকের আসর বসাতেন। পার্টির এক পর্যায়ে তারা টার্গেট করা ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন সুন্দরী রমণীদের। এই সুন্দরীদের নিয়ে আলাদা কক্ষে একান্তে সময় কাটানোর বন্দোবস্ত থাকত। আর অতি গোপনে এসব দৃশ্য বিশেষ টেকনোলজির মাধ্যমে ধারণ করতেন পরী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরবর্তীতে চলত ব্ল্যাকমেলিং।
এছাড়া, পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। মাদক ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজ ও তার সহযোগী সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের দখলে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, এলএসডি, আইস ও সিসা রেখেছিল। যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, ভয়ংকর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে র্যাব।
পরীমনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিং দিয়ে। এরপর নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগেই আলোচনায় আসেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর প্রথম দিকেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন পরীমনি।
২০১৫ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। স্বল্প ক্যারিয়ার জীবনে খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করেননি পরীমনি, তবে বনানীতে ফ্ল্যাট ও কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ির মালিকানা, পাঁচ তারকা হোটেলে জন্মদিন পালন ও বিভিন্ন সময়ে তার দেশের বাইরে ভ্রমণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। কিন্তু এত সব কিছুর মালিকানার পেছনের আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার। সাংবাদিক তামিম হাসানের সাথে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরীমনির বাগদান হয়। পরবর্তীতে তাদের এনগেজমেন্ট ভেঙে যায়। ২০২০ সালের ৯ মার্চ তিনি পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন, সেটাও টেকেনি। ওই বছরেই বিচ্ছেদ হয় তাদের। তবে এর আগেও গুঞ্জন উঠেছিল অভিনয়ে আসার আগেও নাকি বিয়ে করেছিলেন পরীমনি। ২০১২ সালে সৌরভ নামের একজনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সে সময়ের কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছিল। তবে পরীমনি সব অস্বীকার করেন।
তবে সব কিছু ছাপিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে। এরপর প্রধান আসামি করে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন তিনি। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সবশেষ ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাব অভিযান শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে। বাসায় অনুমোদনহীন মিনিবার পরিচালনা ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেছে র্যাব। এ মামলায় বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তথ্যসূত্র: সময় নিউজ টিভি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন