পাঁচ দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন আ.লীগ নেতারা

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে ৫ দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। চলতি মাসের ২৮ অক্টোবর ১৯ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল চীনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, এটা হলো পার্টি টু পার্টি সফর। তবে এ সফরে দেশের বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জমির বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের মাধ্যমে আরও কোন কোন বিষয়ে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। চীন যেহেতু বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়েও আলোচনা হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আমাদের একটি টিম চীন সফরে যাবেন। এটা আমাদের নিয়মিত একটা সফর।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খানের নেতৃত্বে এই সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, পারভীন জাহান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, মেরিনা জাহান, রেমন্ড আরেং এবং আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য তরুণ কান্তি দাশ।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ সফর রেগুলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মতোই। আমরা আগেও চীনে গিয়েছি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা বাংলাদেশে এসেছেন। এটা পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক।

এর আগে সর্বশেষ গতবছরের ১৯ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীন সফর করে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। একইভাবে আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণেও চীনের ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপদস্থদের প্রতিনিধি দল কয়েকবার ঢাকা সফর করেছেন। মূলত উভয় দেশের এবং ক্ষমতাসীন উভয় দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এই সফর।