পানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি সাতক্ষীরার কলারোয়ার পান চাষীরা

দীর্ঘ সময়ের লোকসানের প্রহর কাটিয়ে অবশেষে পানের দাম ভালো পাওয়ায় বেজায় খুশি সাতক্ষীরার কলারোয়ার পান চাষীরা। দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় একটানা লোকসানেও ভালো সময়ের অপেক্ষায় পান চাষীরা ধৈর্য ধরে আগলে রেখেছিলেন পানের বরজ। অবশেষে দেখা মিললো ভালো দাম, মুখ দেখলো লাভের। চলতি বছর দিগুন হারে দাম বেড়েছে পানের, কষ্টের দিন শেষ পান চাষীদের।

গেলো বছর অনেক পান চাষীরা লোকসানের পাল্লা সামাল দিতে না পেরে পানের বরজ ভেঙ্গে অন্য ফসল ফলিয়েছিলেন।

পান চাষীরা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় পানের জোগান কম থাকায় পানের দাম হু হু করে বাড়ছে। শীত মৌসুমে পান গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়, পান পেঁকে যায়, ঝরে পড়েভ এসব কারণে পানের উৎপাদন কম হয়। যার কারণে শীত মৌসুমে অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক পানের দাম বেশিই থাকে।

কলারোয়ার পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বড় মোকাম ঝাউডাঙ্গা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পোণ প্রতি বড় পান ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, মাঝারি পান ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ছোট পান ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

পান ব্যাপারী কার্তিক চন্দ্র জানান, ‘গত ২/৩বছর পানের বাজারে ধস নামায় পান চাষীরা বিপাকে ছিলো। পান বিক্রির টাকায় চাষের খরচ উঠতো না। ব্যাবসায়ীরা যেমন কিনতো তেমন বিক্রি করতো। তবে বর্তমানে পানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাবসায়ীরা বেশি দামে কিনলেও লাভে বিক্রি করতে পারছেন।’

কলারোয়া উপজেলার জয়নগরের পান চাষী তপন দাস জানান, ‘দীর্ঘদিন পরে বরজ থেকে পান বিক্রি করে পকেটে দু’টো টাকা আসছে। এর আগে পান বিক্রির টাকায় বাজার করাও হতো না। গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে পান চাষের খরচ নিয়ে বিপাকে ছিলো চাষীরা। বর্তমানে পানের দাম ভালো থাকায় সন্তুষ্ট পান চাষীরা।’

জয়নগরের আরেক পান চাষী বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘বছরের এই সময়টিতে পানের দাম একটু বেশি থাকে।’
কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘পান গাছের বৃদ্ধি ঘটে না, পান পাতা পেঁকে যায়, ঝরে যায়। সীমিত পরিমাণ পান কাটা যায় গাছ থেকে। এসব কারণে পানের দাম বেড়ে যায়। তবে তিনিসহ অন্য পান চাষীরা পানের দাম বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট।’
প্রতি হাটে তিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার পান বিক্রি করেন বলে জানান।

সবমিলিয়ে চলতি সময়ে দাম ভালো পাওয়ায় পান চাষীরা লাভের মুখ দেখছেন। এতে খুশি তারা।